হোম » প্রধান সংবাদ » লালমনিরহাটে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

লালমনিরহাটে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি (টপ সয়েল) যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে উর্বরতা শক্তি হারিয়ে উৎপাদন কমছে কৃষি জমির। আবার উর্বরতা শক্তি ফিরে আসতে ৫ থেকে ১০বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় ৪৭টি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটাগুলোর মধ্যে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৮টি, আদিতমারী উপজেলায় ১১টি, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৮টি, হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৬টি, পাটগ্রাম উপজেলায় ৪টি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, এসব ইটভাটায় ইট তৈরির জন্য বছরে আনুমানিক ১হাজার বিঘা উর্বর কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সচেতনতামূলক প্রচারণার অভাবে উপরিভাগের মাটি বিক্রি বা স্থানান্তরের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জমি ও ইটভাটার মালিকেরা জানেন না। এ অবস্থায় প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকেরা উপরিভাগের মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করেও থেকে যাচ্ছে শাস্তি বা জরিমানার বাইরে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফসলি জমি থেকে শ্রমিকরা ট্রাক্টরে করে মাটি ভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। ভ্যানে করেও জমি থেকে মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

শ্রমিকরা জানান, চলতি নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এই মাটি কেটে নেওয়ার কাজ চলবে। কৃষি ও পরিবেশবিদরা বলেন, টপ সয়েলে যে জৈব উপাদান থাকে, তা কৃষি উৎপাদনের জন্য সহায়ক। এই জৈব উপাদান ইটভাটায় চলে গিয়ে অপচয় হয়, যা পূরণ করতে ৫ থেকে ১০বছর সময় লেগে যায়।

পরিবেশ অধিদপ্তর বলেন, ইটভাটার জন্য টপ সয়েল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনুমোদিত ইটভাটাগুলো তাদের প্রয়োজনে অনুমতি সাপেক্ষে হাজা-মজা পুকুর, খাল-বিল-ডোবার মাটি ব্যবহার করতে পারবে। টপ সয়েল ব্যবহার করা হচ্ছে বা নেওয়া হচ্ছে- এমন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করতে পারে।

error: Content is protected !!