হোম » Uncategorized » ডোমারে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ডোমারে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মো:রিমন চৌধুরী: ‘ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা’ কথাটা শুনলেই আবহমান গ্রাম বাংলার চিরাচরিত দিনগুলো চোখের সামনে ভেসে আসে। সারা বছর আপন যত্বে ঘোড়ার পরিচর্চা করে বিশেষ একটা দিনের জন্য সেরা হওয়ার যে উদ্যম, গ্রাম বাংলায় প্রচলিত ছিল; কালের নিষ্ঠুর নির্মমতায় তা যেন আজ হারিয়ে গেছে। তবে কোনো কিছু হারালেও যে তার কিছুটা অধঃক্ষেপ থেকে যায় তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ডোমার উপজেলা। নীলফামারীর জেলার ডোমার উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো দেশের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।

গতকাল মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন উন্মুক্ত মাঠে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী  খেলাটি উপভোগ করতে দুর-দুরান্ত থেকে আসা বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি দেখা গেছে। প্রতিযোগিতায় ক-গ্রুপে বগুড়ার মামুন প্রথম ও পাঁচপীরের রেজা দ্বিতীয়, খ-গ্রুপে ডোমারের আব্দুল হাদি প্রথম, ঝাড়বাড়ির মমিনুর দ্বিতীয় এবং গ-গ্রুপে বগুড়ার জহুরুল প্রথম ও একই এলাকার আব্দুল মালেক দ্বিতীয় হয়েছে।

প্রথম পুরস্কার ছাগল ও ২য় পুরস্কার টিভি বিজয়ীদের উপহার দেওয়া হয়েছে

প্রতিযোগিতায় নীলফামারী জেলা ছাড়াও পঞ্চগড়, দিনাজপুর, বগুড়াসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বলবান সুদর্শন ঘোড়া নিয়ে শোয়ারীরা অংশগ্রহন করেন।

প্রবীণ ঘোড়া পালনকারী ডোমারের আব্দুল্লাহ হেল কাফির সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পরিষদ সদস্য মনজুর আহমেদ ডন, বোড়াগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমুন, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, সামজসেবক মিজানুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে আসা যবুক তাহেরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। খেলাগুলো মাঝে মধ্যে আয়োজন করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। আজকের এ খেলাটি দেখতে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছে। আমার খুব ভালো লেগেছে।

খেলা পরিচালনাকারী আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, আজকে প্রায় ৩০ হাজারের অধিক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। সবাই খুব আনন্দ পেয়েছে। আমরা প্রতি বছর এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করার চেষ্টা করবো।

প্রধান অতিথি ও প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুব সমাজ এখন বিপদগামী হচ্ছে। খেলাধুলাই পারে সেই বিপদের পথ থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে। ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ছাড়াও গ্রামীণ খেলাগুলো নিয়মিত অয়োজনের প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Loading

error: Content is protected !!