হোম » খেলা » তাসকিন ঝড়ে ঢাকার জয়

তাসকিন ঝড়ে ঢাকার জয়

আওয়াজ অনলাইন: এভাবেও ম্যাচ হারা যায়! সহজ ম্যাচকে যে কতটা কঠিন করা যায়, তা হয়তো এই ম্যাচটা না দেখলে বিশ্বাসই হতো না। খুলনা টাইগার্স সেটাই করে দেখিয়েছে। দলটি শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৯ রানে! তাসকিন ও আল আমিনের বোলিং তোপে ১০৮ রান করেও ২৪ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স।

গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৮ রানে অলআউট হয় নাসিরের দল। জবাবে ১৫ ওভার তিন বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৪ রানে থামে ইয়াসির আলি-তামিমদের দল।

মাত্র ৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন তাসকিন আহমেদ। আর টাইগার পেসারের এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮ম ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো রাজধানীর দলটি।

লো-স্কোরিং ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি খুলনা। দলীয় ৯ রানে শাই হোপকে হারায় দলটি। এরপর তামিম ইকবাল জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে। দলের ৩০ রান পর্যন্ত জয় ছিলেন বটে, তবে তারও মরিবার স্বাদ হলো। নাসির হোসাইনকে তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন আরিফুল হকের হাতে।

আরও দশ রান এগিয়ে দিয়ে দলের ৪১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তামিম। তার আউটের পর কয়েক দফায় বেঁচে গিয়েও থাকতে পারলেন না আজম খান। উইকেট পতনের মিছিলের ডাকটা তিনিই দিলেন প্রথমে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। অধিনায়ক আউট হন ২৪ রান করে। এর বাইরে বাকিদের রান যেন টেলিফোনের ডিজিট।

ঢাকার পক্ষে দারুণ বোলিং করেন তাসকিন, নিয়েছে চারটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসির ও আল-আমিন। একটি করে উইকেট গেছে আমির হামজা ও সালমান ইরশাদের পকেটে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা ঢাকার শুরুটা হয় আরও বাজে। দলের আট রানের মধ্যে চলে যায় মিজানুর রহমান, উসমান গনি ও মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট। শুরুর তিন ধাক্কাই দিয়েছেন নাহিদুল ইসলাম। খুলনার এই অভিজ্ঞ অফস্পিনার পরে নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। এই চার উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে!

তবে এক প্রান্তে উইকেট আগলে রাখেন অফ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার। এদিনই দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরে থাকেন সৌম্য। ৪৫ বলে ৫৭ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাসকিনের, ৯ বলে ১২। এছাড়া ১১ বলে ১০ রান করেন আল-আমিন হোসাইন।

খুলনার বোলারদের মধ্যে নাহিদুল ছাড়াও অসাধারণ বোলিং করেন নাসুম আহমেদ। চার ওভার বল করে ১১ রান খরচায় নিয়েছেন তিনটি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাহিদ রানা ও ওয়াহাব রিয়াজ।

error: Content is protected !!