হোম » অন্যান্য বিভাগ » দুরমুট ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী  ইনচার্জ আজিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

দুরমুট ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী  ইনচার্জ আজিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

রবিউল হাসান লায়ন : জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার দুরমুট ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী ইনচার্জ  আব্দুল আজিজের নামে বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মেলান্দহ সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক আধিপত্য তার। সরকারি হাসপাতালে আধিপত্য স্থাপন ও নানা অনিয়ম করে কালো টাকার মালিক বনে যাওয়া আব্দুল আজিজ কাউকে তোয়াক্কা করে না বলেও হাসপাতালে কর্মরত অনেকে জানিয়েছেন। 
আব্দুল আজিজ। দেহের গঠন সুঠাম না হলেও, মেলান্দহ সরকারি হাসপাতালে অনেক দুর্নীতিই চলে তার ইশারায়। হাসপাতালের টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি দপ্তরে তার রয়েছে বিশাল নিয়ন্ত্রণ। দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালটি এভাবে পরিচালনা হলেও ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি কেউ। হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার ভবন ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আব্দুল আজিজ নামে ওই ব্যক্তি।
হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার অবস্থানরত নার্সরা জানান, কোয়ার্টারটি পরিত্যক্ত হলেও এখানে থাকতে হলে তাদের প্রতি মাসে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ভাড়া দিতে হয়। তবে এই ভাড়ার টাকা কোথায় যায় সেটা তারা জানেন না। প্রতিমাসে ভাড়া প্রদান করলেও তাদের কাছে কোন প্রকার লিখিত ডকুমেন্ট নেই বলেও জানান পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে অবস্থানরত নার্সরা।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা এই প্রতিবেদককে বলেন,  মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহি:বিভাগের টিকিট মূল্য ৩ টাকা সরকারি ভাবে নির্ধারণ করা থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫ টাকা করে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে বারবার অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তারা।
তারা আরও বলেন,  সব দূর্নীতির টাকা নাকি আজিজ নামে একজন ভাগবাটোয়ারা করে। তবে কে এই আজিজ সেটা চিনেন না সেবা গ্রহীতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, আব্দুল আজিজ স্বাস্থ্য সহকারী পদে উপজেলার দুরমুট ইউনিয়নে কর্মরত ছিলেন। তবে ওই ইউনিয়নে কর্মরত থাকলেও কোনদিন মাঠে যেতেন না তিনি। সবসময় সময় কাটিয়েছেন উপজেলা হাসপাতালে।
তিনি আরও বলেন, ইনচার্জ হিসেবে পদন্নোতি পাওয়ার পর আব্দুল আজিজ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারি হাসপাতালের সব ক্ষেত্রেই তার হস্তক্ষেপ রয়েছে। বর্তমানে ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরেও কোন প্রকার কাজ করেন না তিনি।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গাজী মোহাম্মদ রফিকুল হক সাংবাদিকদের জানান, পরিত্যক্ত ভবন থেকে টাকা উত্তোলন কিংবা হাসপাতালের বহি:বিভাগের টিকিট এ টাকা বেশি নেওয়ায় ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
error: Content is protected !!