হোম » অন্যান্য বিভাগ » রৌমারীতে ভুয়া কাজীর অনুমতি, সদর  ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

রৌমারীতে ভুয়া কাজীর অনুমতি, সদর  ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

কুড়িগ্রাম  প্রতিনিধি : নীতিমালাকে উপেক্ষা করে ও উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ভুয়া কাজীকে বিবাহ রেজিস্ট্রির অনুমতি দেওয়ায় উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিকাহ ও বিবাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী আলহাজ্ব মো: সাইফুল ইসলাম।
এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে সাখওয়াত হোসেন লিপন কাজীর সহযোগী পরিচয় দিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে রৌমারী সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবাধে বাল্যবিবাহ’র ভুয়া রেজিস্ট্রি করে আসছে। এতে সে সচেতন মহলের কাছে প্রশ্নের সম্মখিন হওয়ায় রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এর স্বরনাপন্ন হয় সাখওয়াত হোসেন লিপন।
এতে করে ইউপি চেয়ারম্যার আব্দুর রাজ্জাক কাজীর সহযোগি হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে তার স্বাক্ষরিত কাজীর সহযোগি হিসেবে সাখাওয়াত হোসেন লিপনকে বিবাহ রেজিস্ট্রির জন্য একটি অনুমতিপত্র প্রদান করেন। বিষয়টি নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী আলহাজ্ব মো: সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২০ আগস্ট ২৩ ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।  অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ডিপুটি কমান্ডার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী বলেন, আমি উপস্থিত না থাকায়  কাজীর সহযোগী পরিচয় দিয়ে আমার নাতনির বিবাহ রেজিস্ট্রি করান  সাখাওয়াত হোসেন লিপন। কিছ ুদিন পর বিবাহর নকল চাইতে গেলে সে দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করছে এবং সে কুড়িগ্রাম থেকে নকল আনিয়ে দেয়ার কথা বলে ৫ হাজার টাকা দাবি করে।
রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি মিটিং শেষে রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলাম এমন সময় সাখাওয়াত হোসেন লিপন ৪/৫টি কাগজে আমার স্বাক্ষর নেয়। ওই কাগজের মাঝে নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার ও কাজীর সহযোগী হিসেবে সাময়ীক অনুমতি প্রদান বিষয়ে একটি কাগজেও স্বাক্ষর নেয়। আমি নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দিতে পারি না। সাখওয়াত হোসেন লিপন বৈধ কাজী না। পরে আমি ভুল বুঝতে পেরে ইউএনও স্যার এর কাছে আবেদন দেই।
নিয়োগপ্রাপ্ত কাজি আলহাজ্ব মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি কোনো সহযোগী কাজী নিযোগ দেইনি। সাখওয়াত হোসেন লিপন আমার সহযোগী কাজী হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় পরিচয় দিয়ে বাল্যবিবাহ’র ভুয়া কাগজে রেজিস্ট্রি করছে। আমি এর সঠিক সমাধান চাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। পঁাচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এস
error: Content is protected !!