হোম » অন্যান্য বিভাগ » সিরাজগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি

সিরাজগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এক সপ্তাহ ধরে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফলে সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় যমুনা তীরবর্তী নিম্নঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদীপাড়ের মানুষ। একই সঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নঞ্চলের ফসলি জমি।

সোমবার (১৪ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা- ১২ দশমিক ৯০ মিটার)।

অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২৮ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার ৫ উপজেলার যমুনা অভ্যন্তরের চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধিতে কাজিপুর উপজেলার তেকানি, খাস রাজবাড়ি, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া, শাহজাদপুরে জালালপুর অঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নি¤œাঞ্চলের বসবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। একারনে চরাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছি। পানিবন্দিদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ করছি আমরা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, কয়েকদিনে ভারী বর্ষণের ফলে এক সপ্তাহ ধরে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি আরও জ্জ দিন বাড়বে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারী বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, চলতি বন্যায় সরকার ভাবে ৭৪০ মেট্রিক টন চাউল, নগদ ২০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা, শিশুদের জন্য ২ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত মানুষদের তালিকা করা হয়নি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী কাজ চলছে। তালিকা হাতে পাওয়া মাত্রই বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

error: Content is protected !!