হোম » অন্যান্য বিভাগ » ডিমলায় আলিম মাদ্রাসায় ৬ টি পদে অবৈধভাবে গোপনে নিয়োগ বাতিলের দাবি এলাকাসীর

ডিমলায় আলিম মাদ্রাসায় ৬ টি পদে অবৈধভাবে গোপনে নিয়োগ বাতিলের দাবি এলাকাসীর

নীলফামারী প্রতিনিধি: ডিমলা উপজেলা অসচ্ছ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার খালিসা চাপানি ব্যাপারিটোলা আলিম মাদ্রাসায় এই ঘটনাটি ঘটে। উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি অসচ্ছ বলে দাবি করেন অসংখ্য এলাকাবাসী।

মজার ব্যপার হলো ৬ টি পদে নিয়োগ প্রদান করা হইলো কিন্তু এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কত তারিখে কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এ বিষয়ে এলাকাবাসীও অবগত নয়। যার কারনে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যে ছয়টি পদ শূন্য তা হলো (১) অধ্যক্ষ ১ টি (পদটি শূন্য) (২) উপাধ্যক্ষ ১ টি (৩) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১ টি  (৪) নিরাপত্তা কর্মী ১ টি  (৫) অয়া ১ টি (৬) অফিস সহকারী ১ টি। যে ছয় জন ব্যক্তি উক্ত পদগুলোতে নিয়োগ পেলেন তারা হলেন, অধ্যক্ষ পদে মোঃ আব্দুল মান্নান, যিনি উক্ত প্রতিষ্টানে উপাধ্যাক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উপাধ্যক্ষ পদে মোঃ হাফিজুর রহমান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে মোঃ আসাদুজ্জামান লিটন, যিনি গর্ভনিং বডির সভাপতি মোহ রহমতউল্লাহ মিয়ার ছেলে।

অফিস সহকারী কম্পিউটার অপারেটর পদে মুন্নি, নিরাপত্তা প্রহরী পদে রিমন ও আয়া পদে মোছাঃ শামিমা। তথ্য নিয়ে জানা যায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমেটি গঠনেও ভোটের মাধ্যমে কমেটি দেখানো হলেও সেই কমেটি হয়েছে মাত্র খাতায় কলেমে এক কথায় পকেট কমেটি। তবে সভাপতি মোঃ রহমতুল্লাহ মিয়ার নাম ছাড়া অন্যদের নাম এলাকাবাসী জানে না। যাই হোক অতি গোপনে খাতায় কলমে গভর্নিং বডি নিয়োগ করে নিজের নিয়োগ নিজে নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল মান্নান। সব নিয়োগ মিলে প্রায় কোটি টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মোঃ আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে।

গত ৬ জুন এক নির্দেশনায় বলা হয় কোন বেসরকারি মাদ্রাসায় শিক্ষক – কর্মচারী নিয়োগে বলা হয়েছে যে কোন পরীক্ষাথীর নিকট আত্নীয় নিয়োগ কমিটিতে থাকিতে পারবেনা। এ ছাড়া মাদরাসার উপাধ্যক্ষ, সহকারী সুপার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, ভারপ্রাপ্ত সুপার ও শিক্ষক-কর্মচারী ওই মাদরাসার কোনো পদে প্রার্থী হলে তিনি নিয়োগ কমিটিতে থাকতে পারবেন না। অথচ খালিশা চাপাণী বেপারীটোলা আলিম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান নিজেই নিজের নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ পদে। এ ছাড়া গভর্নং বডির সভাপতি নিয়োগের প্রতিনিধি হিসেবে থেকে নিজের ছেলেকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ প্রদান করেন।

যা মাদরাসা বোর্ডের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তবে এলাকার সচেতন ব্যক্তি অনেকে বলেন, এই খালিশা চাপানী বেপারীটোলা আলিম মাদ্রাসায় যে ছয়টি পদে নিয়োগ হয়ে সে বিষয়ে এলাকাবাসী কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখে নাই এবং এই নিয়োগটি পুরোপুরি অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে সুতরাং আমরা এই নিয়োগ বতিল চাই। এই নিয়োগ বাতিল করে সম্পর্ন ভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় নিয়োগ প্রদান করা হউক। এবং উক্ত পদগুলোর জন্য প্রকৃতভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রদান করা হক।

error: Content is protected !!