হোম » অন্যান্য বিভাগ » শেখ হাসিনার শাসনামলে নদী ভাঙন এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে: দোলন

শেখ হাসিনার শাসনামলে নদী ভাঙন এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে: দোলন

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী ভাঙনের স্থায়ী প্রতিকারের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সরকারের ১৪ বছরের ধারাবাহিক শাসনামলে সারাদেশে নদী-ভাঙন এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, সমাজ সেবামূলক সংস্থা কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকালে মধুমতী নদীকে নিয়ে লেখা গান প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকাস্থ আলফাডাঙ্গা উপজেলাবাসী।
এসময় দোলন বলেন, একটা সময়ে পরিকল্পনা আর উদ্যোগের অভাবে দেশের নদীগুলোর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছিল। ভাঙনের ভয়ে নদী পাড়ের জীবন ছিল রীতিমতো দুঃস্বপ্নের। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নদ-নদীর গুরুত্ব দিয়ে নানা উদ্যোগ-পদক্ষেপ নেন। এর ফলে আজকে দেশের নদীকেন্দ্রীক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা যেমন বেড়েছে, তেমনি চাষের জমিও বাড়ছে।
এসময় ঢাকা টাইমস সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনাও শেখ হাসিনার আরেকটি যুগান্তকারী উদ্ভাবনা। এই ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে শেখ হাসিনার সরকারের বিকল্প নেই। আর সেজন্য আগামী নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে
অনুষ্ঠানে দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সিনিয়র সাব এডিটর বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উল হকের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা শেখ শওকত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, পুলিশের সাবেক এআইজি মালিক খসরু, বগুড়া ইউনিভার্সিটি অব পুন্ড্র সাইন্স এন্ড টেকনোলজির সাবেক ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা খান জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকাস্থ আলফাডাঙ্গা উপজেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নেয়ামুল বারী বারু, কৃষক লীগের সহ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ জামাল হোসেন মুন্না, ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দাস লক্ষণ, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা মো. লুৎফর রহমান খান, আলফাডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমান বাহার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন প্রমুখ।
মধুমতী নদীকে নিয়ে গানটির সুর করেছেন এসএম আব্দুল কুদ্দুস, গীতিকার শামসুদ্দিন হাসুর লেখা গানটি গেয়েছেন শিল্পী মনিরুজ্জামান মনির। সংগীত পরিচালনা করেছেন জি এম রাহমান রনি।
প্রসঙ্গত, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ফরিদপুর, মাগুরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলা দিয়ে বয়ে গেছে মধুমতী নদী। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নে গড়াই নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে মধুমতীর জলধারা বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নে গিয়ে শালদহ নদীতে পতিত হয়েছে।
error: Content is protected !!