হোম » অন্যান্য বিভাগ » পোরশায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০৩ জন

পোরশায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০৩ জন

ইসমাইল হোসেন: এ বছর এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা  ফলাফল পোরশা উপজেলায় সর্বমোট ১০৩ জন জিপিএ ৫ পেলেও দাখিল পরীক্ষায় কেউই জিপিএ ৫ পায়নি।  এ বছর সর্বমোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪৮৪ জন পাশ করেছে ১২৬১ জন। বাকী ২২৩জন বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করেছে।

এসএসসি পরীক্ষার উপজেলা ফলাফলে নওগাঁর পোরশায় ৬৬ জন জিপিএ-৫ পেলেও ফেল করেছে ৬১ জন শিক্ষার্থী। সর্বোচ্চ জিপিএ- ৫ পেয়েছে শিশা দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫জন। সবচেয়ে বেশী ফেল করেছে মশিদপুর হাই স্কুল- ১৩জন পরীক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানান, এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার ২৪টি বিদ্যালয়ের ৭৮৭জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এতে পাশ করে ৭২৬জন। ফেল করেছে-৬৬জন। পাশের হার- ৯২.২৪। পাশকৃতদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬জন। ৭টি স্কুলের পরীক্ষার্থী -১০০% পাশ করেছে এবং অন্যগুলির পাশের হার ৬২% থেকে ৯৮% ভাগের মধ্যে রয়েছে বলে সূত্রটি জানায়।

সূত্র আরো জানায়, দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ২৭ টি মাদ্রাসার মোট ৬১১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এতে পাস করে ৪৮২ জন। ফেল করেছে ১২৯ জন। পাশের হার ৭৮. ৮৯%। দুটি মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ১০০% পাশ করেছে এবং অন্যগুলির পাশের হার ৪০ থেকে ৯৬%  ভাগের মধ্যে রয়েছে বলে জানা যায়। ভোকেশনাল পরীক্ষায় উপজেলার তিনটি প্রতিষ্ঠানের  ৬৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এতে পাস করে ৫৩ জন। ফেল করেছে ১২ জন । পাশের হার ৮১.৫৪%।  জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৭ জন।
শতভাগ পাশ করা বিদ্যালয় গুলি হলো পোরশা উচ্চ মাদ্রাসা কাম উচ্চ বিদ্যালয়, কাতিপুর কালিনগর উচ্চ বিদ্যালয়, ঘাটনগর হাই স্কুল, নিসকিনপুর হাই স্কুল, মিছিরা শহিদ জিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বালিয়াচান্দা হাই স্কুল ও মুলুকডাংগা হাই স্কুল। শতভাগ মাদ্রাসাগুলি হল নিদপুর দারুস সুন্নাহ ফাজিল মাদ্রাসা ও নিদপুর মহিলা আলিম মাদ্রাসা।

পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী জানান,পোরশা উপজেলার যেসব শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসি দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের উত্তর উত্তর ভবিষ্যৎ উন্নতি কামনা করি।  বাবা-মা শিক্ষকদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি যে করোনা পরবর্তী সময়ে এসব শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারেনি তবুও তারা সাফল্য অর্জন করেছেন এবং তাদের পিছনে তারা পরিশ্রম করেছেন এজন্য তাদের জীবনের উন্নত কামনা করছি। মানুষ গড়ার কারিগর এসব শিক্ষক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আমি আশা করি।

পরীক্ষার্থী ফেল করার বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস ছালাম জানান, দারিদ্রতার কারণে অনেক পরীক্ষার্থী উপজেলার বাইরে কাজ করতে গিয়ে না আসতে পারায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। আবার অনেকেই কাজ করতে গিয়ে পরীক্ষার প্রস্ততুতি না নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় ফেল করেছে বলে তিনি মনে করছেন। তবে বিষয়গুলি তিনি সরজমিনে দেখবেন বলে জানান। তারপরেও এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তিনি খুশি বলে জানান।

error: Content is protected !!