হোম » অন্যান্য বিভাগ » দোকান মাত্রই সাইনবোর্ড এনাম ও আহমেদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ

দোকান মাত্রই সাইনবোর্ড এনাম ও আহমেদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ

মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী: অদৃশ্য আয়ে যেন আলাদিনের চেরাগ এনাম ও আহমদের হাতে, ছোট্ট হকার দোকান থেকে কোটি টাকার সম্পদের মালিক।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে বহিরাগত এনামুল হক ও কাঁচা বাজারের আহমদ উল্লাহ’র হাতে যেন আলাদিনের চেরাগ, এনামুল ছোট্ট একটি হকার দোকান থেকে কোটি টাকার সম্পদ, সীমিত আয়ে যেন, কোটিপতি, নামে বেনামে ক্রয় করেছে কোটি টাকার জায়গা জমি, অন্যদিকে আহমদ উল্লাহ ও কাঁচা বাজার ব্যবসার আড়ালে তৈরি করেছে শামলাপুর বাজারে মাদকের স্বর্গরাজ্য, বাজারের আশপাশের বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মোটা অংকের টাকার প্রলোভনে স্বনামধন্য পরিবারের কিশোরেরা ও লোভে পড়ে বাঁচতে পারেনি মাদকের আগ্রাসন থেকে। এই নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ( অদৃশ্য কোটিপতি এনামুল হক) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী এলাকার সেলিম খলিবার ছেলে এনামুল হক (২৬) তার বাড়ি মায়ানমার সীমান্তের হ্নীলা ইউনিয়নে হওয়ার সুবাদে মাদকের চালান সহজে খালাস করতে বেছে নেন গ্রামের একটি মেঠোপথ, শামলাপুর বাজার, যদিও তার বাবা সেলিম খলিবা দীর্ঘ ২ যুগ ধরে মাথায় অল্প কাপড় নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করতেন, এনামুল শামলাপুর বাজারে লক্ষাধিক টাকার কাপড় নিয়ে হকার ব্যবসায় নেমে যায় গত ৫ বছর পূর্বে,  হকার দোকানে স্বাভাবিক দৈনিক  ৩/৪ হাজারের বেশি বেচাকেনা, না হলেও বছর শেষে কালো টাকার ছোঁয় যেন তার জীবন বদলে দিয়েছে ৫ বছরে বহুগুণ।
উল্লেখ্য যে, গত বছর তিনেক আগে টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ টেকনাফ মডেল থানার কর্মরত অবস্থায় মাদক নির্মূলে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখার পর থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা নড়েচড়ে বসেছিল , কেউ আবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল, পরে ওসি প্রদীপ গ্রেফতার হওয়ার পর কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় আইনে বাঁধা সৃষ্টি হওয়ায়, নতুন করে সক্রিয় হয়েছে চেনা অচেনা মুখ, প্রশাসনের নজর এড়াতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ও রেহাই পাচ্ছে না মাদক ব্যবসায়ীরা। তৈরি হচ্ছে একের পর এক মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা, গত,১৫ জানুয়ারি মাসে কক্সবাজারে যে ২৫৫ জন মাদক ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছিল, সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে নির্দোষ প্রমাণিত হলে বাদ ও পড়ে যেতে পারে অনেকেই।
আবার নতুন তালিকায় সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীরা ও যোগ হতে পারে সেই তালিকায় বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এর মধ্যে গ্রাম শহরে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীদের নজরে রাখছে প্রশাসন।
তারি ধারাবাহিকতায় টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর বাজারের ২জন  প্রতিবেশী হকার নাম বলতে (অনিচ্ছুক) তারা বলেন, আমরা ৩ যুগের বেশি সময় ধরে বাজারে কাপড়ের দোকান করে আসছি দৃশ্যমান কোনো কিছু করে দেখাতে পারিনি কেউ , মালামালের যে দাম আমাদের পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি, সেখানে এনামুল হকের বিভিন্ন স্থানে নামে বেনামে কোটি টাকার জায়গা জমি, তার হাতে যেন আলাদিনের চেরাগ, কিছুদিন আগেও একটা হকারের বড় দোকান ক্রয় করেছে, প্রায় ৭ লাখ টাকা দিয়ে। গড়েছে অঢেল সম্পদ চলছে দাপটে, হাতের মুঠোয় অদৃশ্য আলো যেন এনামুল হকের জীবনে।
বর্তমান এনামুল হকের পরিবার থাকেন শামলাপুর আছাঁর বনিয়া ১ নং ওয়ার্ড। অন্যদিকে উখিয়া হলদিয়া পালং এলাকার রুমকা মহাজন পাড়ার রশিদ আহমেদের ছেলে আহমদ উল্লাহ  কাঁচা বাজারে সাইনবোর্ড হিসেবে রয়েছে একটি কাঁচা মালের দোকান, সেই ও একি সুতায় গাঁথা, গত ৩ বছর পূর্বে শামলাপুর বাজারে আসেন বৈধ ব্যবসার দোহাই দিয়ে, যদি ও আড়ালে একটি মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। যদিও একবছর পূর্বে আহমদ উল্লাহ কোট বাজারের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ইয়াবার চালানে দেয় (৩লাখ টাকার) ছোলার ডাল, সেই মাদকের টাকা ফেরত না দেওয়ায় আহমদ উল্লাহ হুমকির মুখে পড়েন, পরে ঐ ইয়াবার টাকা মাস কিস্তিতে পরিশোধ করতে রাজি হয়ে প্রথম ধাপে ৭০ হাজার টাকা দেয়।
এছাড়া ও গত জুন মাসে শামলাপুর পুরান পাড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন নামে এক যুবক আটক হয় ৪ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে ইমামের ডেইল তল্লাশি চৌকিতে, এই মাদকের চালান ছিল আহমদ উল্লাহ’র, বলে ও জানা গেছে, যদিও রিয়াজ উদ্দিন কে প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার আশ্বাসে তাঁকে মাদকের চালান নিয়ে পাঠায়। এই বিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মছিউর রহমান বলেন, মাদক ব্যবসায়ী সহ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান, তবে বাহারছড়া ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কৌশলে মাদক পাচার করার চেষ্টা করছে, এই মাদকের আগ্রাসন থেকে ফিরিয়ে আনতে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
error: Content is protected !!