হোম » অন্যান্য বিভাগ » ঈদ উপলক্ষে বিক্রি বেড়েছে আতর-টুপির

ঈদ উপলক্ষে বিক্রি বেড়েছে আতর-টুপির

আওয়াজ অনলাইন: রমজানে আতর, সুরমা, টুপি, জায়নামাজ ও তসবিহর ব্যবহার বেড়ে যায়। তাই ঈদ উপলক্ষে পোশাকের পাশাপাশি আতর-টুপির বাজারও জমে উঠেছে। দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।

ফরিদপুরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরু থেকেই আতর-টুপির ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা সাজিয়েছেন। হাতের কাজ করা গোল টুপি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ডিজাইনের বাহারি রঙের টুপির দাম ২০০ থেকে ৬০০ টাকা।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগন্ধি আতরের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস, জেসমিন, রোজ ও দিলরুবা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা তোলা, রেড রোজের তোলা ১৫০০-১৮০০, এরাবিয়ান বেলি ১২০০ থেকে ১৫০০, মর্নিং কুইন ২০০০ থেকে ২২০০, আসওয়াদ ১০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাইলাতি ও মমতাজ ১৪০০ থেকে ১৬০০, দরবার, অ্যাঞ্জেল ও জমজম আতর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। ভারতের বেলি ৫০০ থেকে ৭০০, ব্লু লেডি, ব্লু ফোরম্যান ৭০০ থেকে ৯০০, কুলম্যান ৮০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আতরের মধ্যে হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, বেলি ও নাইট ফ্লাওয়ার বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। জৈতন ও নিমের মেসওয়াক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়।

ক্রেতা ডেভিড খান জাগো নিউজকে বলেন, রোজা শেষে ঈদের আগে নতুন পায়জামা-পাঞ্জাবি বানানো ও সাধ্যমতো কেনার হিড়িক পড়ে যায়। দর্জির ঘরে ভিড় পড়েছে। বাহারি টুপি কেনারও ধুম পড়েছে মার্কেটগুলোতে। আতর-টুপি বিক্রেতারা সারাবছর তেমন একটা ব্যবসা না করতে পারলেও রমজান ও ঈদের বেচাকেনায় খুশি তারা।

বোয়ালমারী হাসপাতাল এলাকার দর্জি মো. মিরাজ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষে কাজের চাপ বেড়েছে। চার জন কর্মচারী নিয়ে প্রায় দিন-রাত সমান তালে পোশাক তৈরির কাজ চলছে। পাঞ্জাবি, পায়জামা, সেলোয়ার-কামিজ, টুপি থেকে শুরু করে সব ধরনের পোশাকের অর্ডার হয়েছে। রমজান ও ঈদে যে পোশাকের অর্ডার পেয়েছি তাতে আমি খুশি।

শহরের চকবাজার এলাকার হাবিবুর রহমান নামের এক আতর-সুরমা, টুপি, জায়নামাজ, তসবিহ বিক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, রমজান উপলক্ষে বেচা বিক্রি বেড়েছে। রমজানে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় বেশিরভাগ সময়ই ইবাদত বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকেন মুসল্লিরা। সে সুবাদেই চাহিদা বাড়ে নতুন টুপি, আতর, সুরমা, তসবিহ, জায়নামাজ, মেসওয়াক ও ধর্মীয় বই-পুস্তকের।

চকবাজার জামে মসজিদ এলাকার ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সারাবছর আতর-সুরমার তেমন চাহিদা না থাকলেও রমজান ও ঈদের সময় এটি বিক্রি বেশি হয়। রমজানের সময় দেশি-বিদেশি আতর-সুরমা দোকানে রাখার চেষ্টা করি। সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, দুবাই, ভারত ও ফ্রান্সের আতর পাওয়া যাচ্ছে চাহিদা মতো।

আরেকর ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন জাগো নিউজ বলেন, একেক টুপির একেক রকমের ডিজাইন। কোনোটা লাল, কোনোটা নীল। কোনোটা আবার দুটো রঙের সংমিশ্রণে। তবে সব ধরনের টুপির মধ্যেই সাদা রঙের প্রাধান্যটাই বেশি। আছে নতুনত্বের ছোঁয়াও। বাহারি রঙের কাপড় ও সুতার ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন টুপিতে। কোনোটা হাতে নকশা করা, কোনোটা প্রিন্ট করা, কোনোটা আবার একেবারে সাদামাটা। টুপির বিভিন্ন নাম রয়েছে। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে আছে আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের টুপি। আরও রয়েছে পাকিস্তানের পাথরি, কাটা, সিন্ধি, হাজি ও রোমিথ টুপি। এ সবের মধ্যে গোল ও কিস্তি টুপির চাহিদা বেশি।

শহরের প্রাণ কেন্দ্রের শাহ ফরিদ জামে মসজিদের ইমাম হোসাইন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, রমজানে যেভাবে মানুষ এবাদত করে, সারাবছর যদি মসজিদগুলোতে এমন মুসল্লি থাকত তাহলে অনেক ভালো লাগত।

error: Content is protected !!