হোম » অন্যান্য বিভাগ » দাগনভূঞা ওয়ার্কফ এস্টেটের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত থানায় এজাহার দায়ের 

দাগনভূঞা ওয়ার্কফ এস্টেটের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত থানায় এজাহার দায়ের 

মোঃআবদুল মুনাফ পিন্টু: দাগনভূঞা ৬ নং সদর ইউনিয়ন পূর্ব জগতপুর হানিফ মিয়াজি বাড়ি শাহাবুদ্দিনের উপর সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষ সপি উদ্দিন হামলা করে রক্তাক্ত করে। বর্তমানে শাহাবুদ্দিন দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ভর্তি আছেন। এই ব্যাপারে থানায় এজাহার দায়ের করেন  সাহাব উদ্দিন বেলাল (৫৯), পিতা -মৃত সফি উল্লাহ, সাং-জগতপুর (হানিফ মিয়াজী বাড়ী), ৯নং ওয়ার্ড, ৬নং সদর ইউনিয়ন, থানা-দাগনভূঞা, জেলা-ফেনী। বিবাদীরা হলেন ১।
হায়দার (৩৫), পিতা-শফি উদ্দিন, ২। হারুন (৪৫), পিতা-মহিন উদ্দীন, ৩। রাশেদ (৩৫), পিতা-মৃত জয়নাল আবেদীন, ৪। সফি উল্লা (৬০), পিতা-মৃত ছিদ্দিকুর রহমান, ৫। শাকিল (৩০), পিতা-আবুল বাশার, ৬। মারুফ (২১), পিতা হারুন, ৭। আবুল বাশার (৫৫), পিতা-মৃত ছিদ্দিকুর রহমান, ৮। বাবু (৩৫), পিতা-রফি উদ্দীন, ৯। বফি উদ্দীন (৫০), পিতা-মৃত ছিদ্দিকুর রহমান, সর্ব সাং জগতপুর (হানিফ মিয়াজী বাড়ী), ৯নং ওয়ার্ড, ৬নং সদর ইউনিয়ন, থানা-দাগনভূঞা, জেলা-ফেনী। হানিফ মিয়াজি ওয়ার্ক এস্টেট, এসি নং ১৭ ১৬./প্রায় ১ হাজার শতক জায়গা নিয়ে বহুদিন  মামলা  চলে আসছে। বাদি শাহাবুদ্দিন  হানিফ মিয়াজির ছেলে মখজুলের রহমানের মেয়ে বেলায়েতের নেছার ছেলে।
ওয়ার্ক এস্টেট থেকে বেনামে  সফি উদ্দিন মোতোয়াল্লি নিয়ে আসে। মোতোয়াল্লি নিয়ে এসে ওয়ার্কফ এস্টেট পুরো সম্পত্তির মোতোয়াল্লি সফি উদ্দিনের ৮ ভাইর নামে খতিয়ান করে নেয়। যাদের নামে খতিয়ান করে নেয় তারা হলেন, মঈনউদ্দীন, সফি উদ্দিন,  রফিক উদ্দিন, ইমাম উদ্দীন, জয়নাল আবেদিন, আবুল বাশার, আবু তাহের,  বেলায়েত হোসেন,। এই ওয়ার্কফ এস্টেটের মোট সম্পত্তি তাদের নামে নিয়ে ৭৩ শতাংশ সম্পত্তি সফি উদ্দিনের মা আঞ্জুমের নেছার  কাছে নাম মাত্র মূল্য বিক্রি করে দেন। এব্যাপরে ওয়ার্ক এস্টেটের মূল ওয়ারিশ শাহাবুদ্দিন  জানান, ওয়ার্ক এস্টেটের মূল মালিকের ওয়ারিশ আমি। সফি উদ্দিন ওয়ার্কফ এস্টেটের মূল মালিকের কেউইনা।
তারা বেনামে ওয়ার্কফ এস্টেটের মুল মালিকের কেউই না। তারা ওয়ার্কফ এস্টেটের থেকে বেনামে মোতোয়াল্লি নিয়ে আসে। সম্পত্তিগুলো তাদের নামে খতিয়ান করে সম্পত্তি তাদের দাবি করে এবং অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে ফেলে। মসজিদের নামে যে পুকুর ছিল তা বরাট করে বাগান করে ফেলেছে। মোতোয়াল্লি ছেলের ঘর করার জন্য ওয়ার্কফ জমি থেকে  প্রায় দশ লক্ষ টাকার মাটি  তার ছেলেকে দেয়। এর পর ওয়ার্কপ সম্পত্তি থেকে দুইবার  করে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করে দেয়। এর ওয়ার্কফ সম্পত্তির থেকে মোতোয়াল্লির ভাগিনা মাওলানার কাছে  ৫০ হাজার টাকার মাটি বিক্রি করে। এরপর  ওয়ার্কফ এস্টেটের ৩ টি পুকুর বর্তমানে লিজ দিয়ে দেয়। ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ঘর দেওয়ার জন্য  কাঠ নিয়ে আসলে আমাকে তারা ঘর দেওয়ার বাধা প্রদান করে আমার উপর বিবাধিরা হামলা চালায় এতে আমি,  আমার স্ত্রী,  আমার ছেলে আহত হয়। এব্যাপারে বিবাধী সফি উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সম্পূর্ণ ঘটনা মিথ্যা। এব্যাপারে দাগনভূঞা থানার ওসু আবুল হাশিম বলেন, আমরা উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
error: Content is protected !!