হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জে ৬টি আসনে প্রার্থীর ছড়াছড়ি : আওয়ামীলীগ নির্বাচনমুখী, আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত বিএনপি!

সিরাজগঞ্জে ৬টি আসনে প্রার্থীর ছড়াছড়ি : আওয়ামীলীগ নির্বাচনমুখী, আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত বিএনপি!

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনো প্রায় অনেকদিন বাকি। নির্বাচনী এলাকায় বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। বর্ষায় যমুনা নদীর উত্তাল ঢেউ যেমন ছুটে চলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তরে, তেমনি যমুনা পাড়ের সিরাজগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনেই নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রামে, ভোটারের বাড়িতে।

ভোটের মাঠ এখন সরগরম। আওয়ামীলীগ সরকারের টানা তিনবারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে সভা-সমাবেশ করছে বর্তমান সংসদ সদস্যরা, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নৌকাকে ফের বিজয়ী করতে তৃণমূলকে করছেন সংগঠিত। আওয়ামীলীগের দাবী উন্নয়নের চিত্র দেখে টানা চতুর্থবারের মতো জনগন শেখ হাসিনাকেই ফের ক্ষমতায় বসাবে।

অন্যদিকে বিএনপি নির্দলীয় তত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না এবং নির্বাচন করতে দিবে না শ্লোগান নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে মাঠে নেমেছে।

সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবী জনগনের কাছে তুলে ধরছেন। হামলা-মামলা ও প্রশাসনিক চাপে কিছুটা কোনঠাসা থেকেও দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন কর্মীরা।

বিএনপির কর্মকান্ড জেলা শহর ভিত্তিক সীমাবদ্ধ। কোনো কোনো আসনে বিএনপির আন্দোলন উপজেলা ভিত্তিক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য ৬টি আসনেই জয় লাভ করেছিলেন। জেলার ছয়টি আসনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন
বাংলাদেশ সহ দলীয় ব্যানারের বাইরে জামায়াত ইসলামের কর্মীরাও সক্রীয় রয়েছেন। আসন ভিত্তিক জাতীয় পার্টি একক প্রার্থী এবং বিএনপি-আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থীর ছড়াছড়ি রয়েছে।

নতুন মুখ আনাগোনা পরীলক্ষিত হচ্ছে। জোটভিত্তিক নাকি একক ভাবে নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি সে সিদ্ধান্তের পরই দলটি প্রার্থীতা ঘোষনা করবে।

৬২ সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর-সদরের ৫টি ইউনিয়ন):

আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ৬২ সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সদরের একাংশ)। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর উপ- নির্বাচনে তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি এর আগেও নবম সংসদ নির্বাচনেও তিনি এ
আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি ছাড়াও আসনটিতে তার চাচাতো ভাই আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রয়াত সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে শেহেরিন সেলিম রিপন মনোনয়ন আশাবাদী। অন্যদিকে, বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক টিএম তাজিবুল ইসলাম তুষার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারী মাও. আব্দুল্লাহ আল
মামুন ও কাজিপুর থানার সভাপতি মাও. জাফর আহমদ।

৬৩ সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের ৫ ইউনিয়ন, পৌরসভা ও কামারখন্দ উপজেলা):

জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ও সম্মানজনক আসন ৬৩ সিরাজগঞ্জ- ২। আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের
সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না।

একাদশ জাতীয় সংসদেও তিনি এআসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। আসনটিতে তিনি ছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় প্রার্থী রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী।

এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম হোসেন আলী হাসান, পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আইনগত সমস্যা না হলে একক প্রার্থী (তিনি দুর্নীতির মামলায় ০৯ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দেশের বাইরে রয়েছেন)। তাঁর সহধর্মিণী ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। জাতীয় পার্টি সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঝন্টু নবম সংসদে মহাজোট এর প্রার্থী ছিলেন।

এই আসনে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে তিনি একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন সংগঠনটির জেলার সভাপতি মুফতী মাও. মো. মহিববুল্লাহ এবং সহ-সভাপতি মাও.জিয়াউল হক জিয়া।

৬৪ সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ):

চলনবিল অধ্যূষিত এই আসনটি খাদ্য-শস্যে স্বয়ংসম্পুর্ন হওয়ায় আসনটি অনেক গুরুত্বপুর্ন। বর্তমানে আসনটির সংসদ সদস্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের ডা. আব্দুল আজিজ। তিনি এক সময় ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন। তিনি ছাড়াও আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য এটিএম লুৎফর রহমান দিলু, সাবেক এমপি ম.ম আমজাদ হোসেন মিলনের কন্যা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হুসনে আরা পারভীন লাভলী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রকৌশলী (অব) নজরুল হাসান মানিক, আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা
পরিষদের সদস্য ড. হোসেন মনসুর, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমন তালুকদার, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট।

আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর দাবী রায়গঞ্জে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে একারনে রায়গঞ্জ থেকে দলের প্রার্থী দেয়া হলে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ শতভাগ জয়ী হবে।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকার শীর্ষে রয়েছে চারবারের সাবেক এমপি প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার।

এছাড়াও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আয়নুল হক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রকিবুল করিম খান পাপ্পু, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি-জেলা বিএনপির উপদেষ্টা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে দলের জেলার সহ-সভাপতি গাজী মো. আয়নুল হক ও রায়গঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাও. মো. ইয়াকুব আলী, জাকের পার্টি যুবফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন মনোনয়ন চাইতে পারেন।

৬৫ সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া)

আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম। তিনি এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ছাড়াও আসনটি এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন সাবেক এমপি আব্দুল মির্জার কন্যা সেলিনা মির্জা মুক্তি, সাবেক
সংসদ সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহেদুল হক জাহিদ, পৌর মেয়র এসএম নজরুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেকবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যা কে,এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল। অন্যদিকে, বিএনপি থেকে একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক এমপি এম. আকবর আলী, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল ওয়াহাব, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাড. সিমকি ইমাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কে.এম শরফুদ্দীন ও উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড. শামসুল আলম।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতী আব্দুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মাও. মানসুরের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী রফিকুল ইসলাম খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন।

৬৬ সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী):

তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ দুটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত আসনটি জেলার অন্যতম গুরুত্বপুর্ন আসন। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের আব্দুল মমিন মন্ডল সংসদ সদস্য রয়েছেন।

তিনি ছাড়াও দলের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন কর্মীবান্ধব বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। এছাড়াও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, ঢাকার বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন এবং চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাকিবুল করিম খান পাপ্পু ও কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মওলা খান বাবলু। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক জেলা আমীর অধ্যক্ষ আলী আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিবেন।

এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসেন, উপজেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতি হাজী আকবর আলী, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সম্পাদক হাফেজ মাও. মোহাম্মদ নুরুন্নবী ও জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক শহীদ আমিনের নাম শোনা যাচ্ছে।

৬৭ সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর):

কবি গুরু রবীন্দ্র ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুর আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য রয়েছে উপ-নির্বাচন থেকে নির্বাচিত আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা।

তিনি ছাড়াও আসনটি তার ভাই সাবেক এমপি শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরু, শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের স্পেশাল পিপি এ্যাড. শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু, শাহজাদপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনির আক্তার খান তরু লোদী, প্রয়াত এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসিবুর রহমান স্বপনের মেয়ে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ফেরদৌসী রহমান শান্তা ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ হায়দার খান লিটন। অন্যদিকে, বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিগত নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থী
হিসেবে এবারো শক্তভাবে মাঠে থেকে কর্মীদের সাহস জুগিয়ে চলছেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর ডা.এম.এ মুহিত।

এছাড়াও অন্যান্যদের মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলাম সালাম এমবিএ, শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির
সাবেক সভাপতি হুসেইন শহীদ মাহমুদ গ্যাদন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার ও অ্যাড. হুমায়ুন কবির নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি (এরশাদ)’র সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও
উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোক্তার হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) শাহজাদপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি শফিকুজ্জামান শফি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, উপজেলা বাসদের সদস্য আব্দুল আলিম ফকির। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শাহজাদপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মেছবাহ উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক মো. ইমরান হোসাইনের নাম শোনা যাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও জাতীয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, বিএনপি এখন আন্দোলনে আছে। যেহেতু এই সরকারকে এ দেশের মানুষ চায় না। যদি নির্দলীয় তত্ববধায়কের নির্বাচন হয়। তাহলে এ দেশের মানুষ বিএনপিকেই ভোট দেবে। তিনি বলেন, সরকারের দু:শাসনে বিরুদ্ধে বিএনপি নির্বাচনী মাঠে প্রস্তুত রয়েছে।

সরকার সমস্ত কিছুর মূল্য বৃদ্ধি করেছে, তাদের দু:শাসনে জনগণ অতিষ্ঠিত। আমরা আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি-এটাই নির্বাচনে কাজ করবে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে, কর্মকান্ড চলছে, যেখানে যেখানে লিকেজ ছিল সেটা সমাধান করা হয়েছে। আশা করি আগামী নির্বাচন আমাদের সবগুলো আসনে জয় আসবে।

দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ একটা বড় দল এখানে নেতার সংখ্যা বেশি। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বিশ্বাস করে। অনেকেই প্রার্থী হতে চায়। আমরা প্রতিটি উপজেলায় বর্ধিত সভা করে দ্ব›দ্ব নিরসন করছি। আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যেই সকল কোন্দল শেষ হবে।

আওয়ামীলীগের ‍কর্মীরা আর যাই হোক আন্দোলন ও নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থাকে।

error: Content is protected !!