হোম » প্রধান সংবাদ » রুহিয়ায় সোনালী পাট কৃষকে জাগিয়েছে আশার আলো

রুহিয়ায় সোনালী পাট কৃষকে জাগিয়েছে আশার আলো

আল ফয়সাল অনিক,রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ গতকয়েক বছর ধরে পাটের দুর্দিন গেলেও এবার পাটের সুদিন ফিরেছে। এখন পাটের কোন অংশই অপচয় বা মূল্যহীন নয়। পাটের আঁশ থেকে যেমন তৈরি হচ্ছে সুতা, পাকানো সুতা, বস্তা, চট, কার্পেট ব্যাকিং সহ বিভিন্ন পণ্য। আপর দিকে গ্রাম-গঞ্জে পাট কাঠি রাখছে জ্বালানি ও ঘরের বেড়া তৈরিতে ভূমিকা। পাটের সোনালি আঁশ ও পাটকাঠি এবার ভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে কৃষকের কাছে। তাইতো

রুহিয়ার পাট চাষীরা পাট নিয়ে আবারও দেখছে আশার আলো। সরেজমিনে থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গ্রাম জুড়ে রাস্তার দ্#ু৩৯;ধারে পাট শুকানো দৃশ্য। কৃষাণ-কৃষাণী প্রচন্ড রৌদ্রে পাট শুকানোর ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার অনেক শুকনো পাটে পাশাপাশি ভালো দাম পাবার আশায় যত্ন করে পাটকাঠি শুকিয়ে রাখছেন। রুহিয়ার ভেলারহাট এলাকার পাট চাষিরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে পাট ও পাটকাঠির তেমন চাহিদা ছিল না।

তাই আমাদের কিছুটা লোকসান গুনতে হয়েছে। কিন্তু চলতি মৌসুমে পাটের বেশ চাহিদা। তাই আমরা পাটে ভালোই দাম পাচ্ছি। চাষিরা আরও বলেন, শুধু পাট বিক্রয় করেই নয় এবার পাটের এই কাঠিও আমাদের আশা জাগিয়েছে। প্রতি বিঘায়(৩৩শতক)৫-৬হাজার টাকার পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে। পাট ব্যবসায়ী মুজিব রহমান জানন, অনান্য বছরের তুলনায় এবছর বাজারে পাটের চাহিদা একটু বেশি। তাই আমরা বাজারে চাহিদা মাফিক প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে পাট ক্রয়

করছি। পাট কাঠি ব্যবসায়ী আঃ কাদের বলেন,আমি কয়েক বছর ধরে পাট মৌসুমে পাটকাঠি কিনে পাইকারি দামে বিক্রি করি। গ্রামের পাশাপাশি শহরে পাটকাঠির খুব চাহিদা রয়েছে। আমার মতো অনেকেই এখন পাটকাঠির ব্যবসা করছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায় জানান, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ১ হাজার ২ শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। সরকার কৃষি পণ্যকে শিল্পে রূপান্তরের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় পাট ও পাট কাঠি বিক্রি করে কৃষক এবার বেশি
লাভবান হবেন।

error: Content is protected !!