হোম » প্রধান সংবাদ » পাবনার ইছামতি নদী খনন করে পুনরুজ্জীবিত করার দাবিতে জেলা প্রশাসক অফিস ঘেরাও মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

পাবনার ইছামতি নদী খনন করে পুনরুজ্জীবিত করার দাবিতে জেলা প্রশাসক অফিস ঘেরাও মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

রাউজ আলী,পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ সিএস ম্যাপ অনুযায়ী পাবনার ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদী খনন করে পুনরুজ্জীবিত করার দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।  মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের জেলা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বাবু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)
সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি এস এম মাহবুব আলম, ইছামতি নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক শহীদুর রহমান শহীদ, বাপার সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান, শামসুল হুদা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বাবু, সেলিম নাজির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা আখতার রোজি প্রমূখ।  বক্তারা বলেন, ইছামতি নদী সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খনন কাজ করার জন্য মহামান্য হাইর্কোটের নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই শুরু হওয়া ইছামতি নদীর উৎসমুখে সংযোগ খাল খনন কাজে প্রস্বস্থতা ও গভীরতা সিডিউল মোতাবেক করা হচ্ছে না বলে
অভিযোগ করেন বক্তারা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ইছামতি নদী খননের মতো একটি  গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না করেই বিল তুলে নেওয়ার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীর প্রাণপ্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাইর্কোটের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীর দুপাড়ের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ এবং খননকাজ যথাযথভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন
করার দাবি জানান তারা। মানবন্ধন শেষে এই দাবিতে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদের কাছে স্মারকলিপি দেন নেতৃবৃন্দ।  উল্লেখ্য বাংলাবাজার ব্রিজ থেকে লাইব্রেরীবাজার হয়ে শ্মশানঘাট  পর্যন্ত ৭.৭৬ কিলোমিটার ইছামতি নদীর দুই মিটার অথার্ৎ প্রায় ৭ ফুট খনন কাজের জন্য ইতোমধ্যে ৫ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার ওয়ার্কওর্ডার হয়েছে। উক্ত কাজটি পেয়েছেন ঢাকার ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাক। গত ৩০ মার্চ কাজটি উদ্বোধন করেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। লাইব্রেরী বাজার থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার নদী খননের কাজ শুরু হবে দেশের লকডাউন শেষ হলে, প্রথমে নদীর দুপাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরে খনন কাজ। বাকী
২.৭৬ কিলেঅমিটার অর্থাৎ বাংলাবাজার ব্রিজ থেকে লাইব্রেরীবাজার পর্যন্ত খনন কাজ চলছে। প্রায় দু‘মাসে মাত্র  ২০ থেকে ২৫ শতাংশজ করা হয়েছে। এ ভাবে কাজ চলতে থাকলে খনন কাজের টাকা ফেরত যাবে হবে বলে জানান বাপাউবো পাবনার জনৈক কর্মকর্তা।  জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের উর্দ্ধে আমরা কেউ নই। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী  সিএস ম্যাপ অনুযায়ী পাবনার ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীর দু‘পাড়েরর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং খনন কাজ করা হবে। খননকাজে কোর রকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। খনন কাজ তদারকির জন্য আমরা আলাদা কমিটি করে দিব।
error: Content is protected !!