হোম » প্রধান সংবাদ » শরণখোলার পূর্ব সুন্দরবনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে  ফায়ার সার্ভিস 

শরণখোলার পূর্ব সুন্দরবনে আগুন,নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে  ফায়ার সার্ভিস 

মোঃনাজমুল ইসলাম সবুজ শরণখোলা প্রতিনিধিঃ পূর্ব-সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের ২৪নং কমর্পামেন্টের আওতাধীন দাসের ভাড়ানী টহল ফাঁড়ির মাঝেরচর এলাকায় গহীন সুন্দরবনে অগ্নি-কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ৩মে (সোমবার) সকাল অনুমান পৌনে দশটার দিকে স্থানীয়রা শরনখোলা – চাঁদপাই রেঞ্জের মধ্যবর্তী এলাকায় ধোয়ার কুন্ডালী উড়তে দেখে প্রথমে সংশ্লিষ্ট দাসের ভাড়ানী ক্যাম্পের বনরক্ষীদের খবর দেন। খবর পেয়ে শরনখোলা রেঞ্জের ষ্টেশন কর্মকর্তা আ. মান্নানের নেতৃত্বে দাসের ভাড়ানী .ভোলা ও নাংলী টহল
ফাড়ির একদল বনরক্ষী সহ স্থানীয় (সিপিজির) সদস্যরা বনের ওই এলাকায় যান। পাশাপাশি শরনখোলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট একই দিন দুপুরে ক্যাপ এলাকায় পৌছালেও লোকালায় হতে অগ্নিকান্ডের এলাকা দুর্গম হওয়ায় বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তারা ঘটনাস্থলে পানি সরবারহ করতে পারেননি। তবে, বনবিভাগ জানায়, অতিরিক্ত তাপদাহের কারনে মাটির নিচে বিভিন্ন প্রজাতির জমে থাকা গাছের পাতা গরম হয়ে প্রাকৃতিক ভাবে এ অগ্নিকান্ডের সুত্র পাত হয়েছে। অপরদিকে, স্থানীয়দের মতে, বনের মধু সহ নানা প্রকার সম্পদ চোরাই পথে যারা আহরন করেন তাদের অসাবধানতার কারনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া, অগ্নিকান্ডের
খবর পেয়ে বন-বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন. শরনখোলা রেঞ্জের (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)মো. মিজানুর রহমান. শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমানসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাছাড়া নাম গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন. বনরক্ষীদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু মানুষ গভীর জঙ্গলে ঢুকে মাছ. কাকড়া ও মধু সহ নানা সম্পদ সংগ্রহ করে। তাদের অসচেতনতার কারনে এমন দুর্ঘটনা বার বার ঘটছে সুন্দরবনে। এ অগ্নিকান্ডের কারনে বন্যপ্রানীদের ক্ষতি হতে পারে। তাই সুন্দরবন সুরক্ষায় সবাইকে আরো সচেতন হতে
হবে। এ ব্যাপারে শরনখোলা রেঞ্জের (এস.ও) আ. মান্নান জানান, বাতাসের তীব্রতার কারনে আগুন বনের প্রায় দেড়-থেকে দুই একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে. লতাপাতা ছাড়া বড় গাছ গুলোর যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সে জন্য চারদিক থেকে ইতিমধ্যে নালা কাটা হয়েছে। ফাঁয়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি সরবাহ শুরু করলে আর কোন বিপদ থাকবে না। তাছাড়া বন-বিভাগ ছাড়াও আগুন নিভানোর কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আমরা সর্বাত্তক চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি রাতের আগেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হবে।
error: Content is protected !!