হোম » প্রধান সংবাদ » বালিয়াডাঙ্গী থেকে সরকারি সহযোগিতায় ধান কাটতে গেলো ৮৫০ জন শ্রমিক – 

বালিয়াডাঙ্গী থেকে সরকারি সহযোগিতায় ধান কাটতে গেলো ৮৫০ জন শ্রমিক – 

মোঃ হাসান আলী,বালিয়াডাঙ্গী প্রতিনিধি: ধান কাটতে সরকারি সহযোগিতায় ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে ৩ দফায় ৮৫০ জন কৃষিশ্রমিককে পাঠানো হয়েছে। কুমিল্লা, নোয়াখালী, বগুড়া,নওগাঁ ও যশোর সহ বিভিন্ন জেলায়। ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার ও ২১ এপ্রিল বুধবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকরা যে কোনো জেলায় ধান কাটতে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে বলে অফিস সুত্রে জানা গেছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি অফিসার সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, করোনা ভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে হাওর এলাকাগুলোতে কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। সময় মত ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলে পানিতে ফসল ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ফসল দ্রুত ঘরে তোলা এবং শ্রমিক সংকট দুর করতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় থেকে বাছাই করে ৮৫০ জন শ্রমিক তিন দফায় পাঠানো হয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, প্রতি জন শ্রমিকের জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যানের পরিচয়পত্র এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে সরকারি তত্বাবধায়নে যাত্রীবাহী বাস ভাড়া করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠানো হচ্ছে কৃষি শ্রমিকদের। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল কাশেম জানান,প্রতিটি শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। শ্রমিকদের মধ্যে যারা চল্লিশ বছরের বেশি বয়সীদের তাদের করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে। কৃষি শ্রমিকরা জানান, বাড়িতে বেকার বসে থাকার চেয়ে আমরা ২০ জন করে দলবেধে ধান কাটতে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। নিজেরা গাড়ি ভাড়া
করেছি। লকডাউনের তাই কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জেলায় যেতে প্রশাসন সহযোগিতা করছে। আগামী ২০-২৫ দিন হাওর এলাকাগুলোতে ধান কাটার কাজ হবে। এতে প্রতিদিন একজন কৃষি শ্রমিকের ৭’শ টাকা থেকে হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোবায়ের হোসেন জানান, ফসল সময় মতো ঘরে তুলতে না পারলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। তাই মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমরা হাওর এলাকাগুলোতে শ্রমিক পাঠানো শুরু করেছি। এতে করে হাওর এলাকায় শ্রমিক সংকট দুর হচ্ছে পাশাপাশি লকডাউনে বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকরাও কাজ পাচ্ছেন।
error: Content is protected !!