হোম » প্রধান সংবাদ » বগুড়ার শেরপুর সীমাবাড়ী ইউপি নির্বাচনে সাধারন মানুষের আস্থা মনছুর রহমান             

বগুড়ার শেরপুর সীমাবাড়ী ইউপি নির্বাচনে সাধারন মানুষের আস্থা মনছুর রহমান             

এম.এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ  প্রাণ সংহারী করোনা ভাইরাস মহামারির শেষ করে বিশ্ব জুড়ে এ প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা হলেও এর মধ্যেই দেশে সময় ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের। আইন অনুযায়ী এ বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের আগে ইউপি নির্বাচন শুরু করতে হবে,আর শেষ করতে হবে জুনের আগেই। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ৯নং সীমাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চলছে প্রতিটি পাড়া/মহল্লা, চায়ের দোকানে একটাই আলোচনা।

সাধারণ মানুষের আলোচনার মূল বিষয় একটাই যে,মানুষের কাছে গেলে তিরস্কার নয় ভালোবাসা পাবে,কাজ না করে দিতে পারলেও সঠিক রাস্তা দেখিয়ে দেবে, গালি নয় কাছে টেনে নিজের পরিবারের একজন ভেবে কথা বলবে,বিপদের সময় যাকে কাছে পাবে এমন যোগ্য ব্যাক্তি চেয়ারম্যান হিসেবে চাইছেন তারা। প্রতিটি গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে একজন শতভাগ নির্ভরযোগ্য ব্যাক্তির নাম মনছুর রহমান আকন্দ। মনছুর রহমান আকন্দ সাবেক সফল ইউপি চেয়ারম্যান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেরপুর উপজেলা শাখা  এবং সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বগুড়া জেলা শাখা’র দায়িত্ব পালন করেছেন ।

বিএনপি সরকারের শাসনামলে ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। নানা রকম ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয় তাকে শেষ পর্যন্ত মহামান্য হাইকোর্ট থেকে নিজের প্রার্থীতার রায় নিয়ে নির্বাচন করে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যান। তিনি দলমত নির্বিশেষে গরিব অসহায় মানুষের মাঝে বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,মাতৃকালীন ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ, ভিজিডিসহ সরকারি সকল অনুদান সফলতার সাথে বিতরণ করেছেন। যখন ধান চারা রোপনের পর সারের জন্য কৃষকেরা হাহাকার করছিলেন তখন নিজের মেধা দক্ষতা বলে সারের সমস্যা সমাধান করে কৃষক দের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন।

যখন তত্বাবধায়ক সরকারের শাসন আমলে দুনীতিগ্রস্থ জনপ্রতিনিধিরা পালিয়ে বেড়িয়েছেন তখনও সৎ ও নিষ্ঠার সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার তিনি কখনো করেননি বরং তার ক্ষমতা বলে অসহায় বিপদগ্রস্থ মানুষ সবসময় ন্যায় বিচার পেয়েছে। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীতার জন্য ভোটের আগে ভোটে তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়। সেইদিন অসহায় সাধারণ মানুষদের চোখের জলে সিক্ত হয়েছিলেন মনছুর রহমান আকন্দ। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি আটল ছিলেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং যাচ্ছেন।

সাধারণ মানুষের আস্থা এবং ভালোবাসা তিনি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। একাধিক তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানান,বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয় অর্জন করার মতো একজন মানুষ আছে তিনি মনছুর। মনছুরের বিকল্প এবার কিছু নেই। তিনি দলমত নির্বিশেষে ইউনিয়নে সকলের কাছে একজন ভালোবাসার মানুষ। তার কাছে কষ্ট নিয়ে গেলে হাসিমুখে বাড়ী ফিরতে হয়।

সকল শ্রেনীর মানুষের ডাকে তিনি সাড়াদেন।আমাদের টাকা পয়সার দরকার নেই দরকার শুধু একটা বিশ^স্থ মানুষ আর একটু ভালোবাসা। দলীয় নেতা-কর্মীরা এবার আর ভুল করবে না ইনশাআল্লাহ মনছুরের বিকল্প নেই। মনছুর রহমান বলেন,বিএনপি শাসনামলে তিনি সাধারণ মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। নিজের স্বার্থ কে নয় সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করেছি । ছাত্র রাজনীতি থেকে আজ আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। ২০২১ইং সালের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি আমার দলের কাছে প্রার্থীতা চাইছি এবং চাইবো ইনশাআল্লাহ আশাকরি এবং বিশ্বাস করি দল আমাকে এবার দলীয় মনোনয়ন দেবে। দলীয় নেতাকর্মী সহ সাধারণ ভোটারদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছি।

error: Content is protected !!