হোম » প্রধান সংবাদ » যাচাই বাছাই করে পিআইসি অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি দিলেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক

যাচাই বাছাই করে পিআইসি অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি দিলেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সুনামগঞ্জে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর প্রদান এবং হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণে মিট দ্যা প্রেস সম্পন্ন করেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। ২৬ ডিসেম্বর শনিবারে বেলা ২টায় সুনামগঞ্জ
সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ
আব্দুল আহাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ও অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম,

 

বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জসীম উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সুনামগঞ্জে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর প্রদান এবং হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মোঃ রিফাতুল হক। এ সময়ে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, সুনামগঞ্জ সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে মুজিববর্ষের উপহার স্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং মুজিববর্ষের লোগো সম্বলিত ১টি করে লাল সবুজের ছাতা বিতরণ করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক সুনামকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক বিজন সেন রায়,

 

দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আল-হেলাল,দৈনিক সুনামগঞ্জের সময় পত্রিকার সম্পাদক সেলিম আহমদ তালুকদার,সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি হিমাদ্রি শেখর ভদ্র ও বাংলাভিশন টিভির প্রতিনিধি মাসুম হেলালসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় সাংবাদিবকৃন্দ বলেন,সাবেক জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম এর বিদায়কালে ও বর্তমান জেলা প্রশাসক এর আগমনে মাত্র ৫ শত পিআইসির মাধ্যমে জেলার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের মধ্যে দিয়ে এই জেলার ফসল শতভাগ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল। যত সময় যাচ্ছে ফসলি জমির পরিমাণ বাড়ছে।

 

সে তুলনায় পিআইসি ও বাঁধের পরিমান ও কম হওয়ার কথা কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যেখানে পাচশত বাঁধই যথেষ্ট সেখানে এবার ৫শতর চাইতে আরো ৪ শত পিআইসি বাড়িয়ে পিআইসির সংখ্যা ৯ শতে উন্নীত করা হয়েছে। এই অতিরিক্ত চারশত বাধই অপ্রয়োজনীয়। শুধুমাত্র সরকারের অর্থ অপচয় ও বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অসদুদ্দেশ্যে অপ্রয়োজনীয় চারশত পিআইসি গঠণ করা হয়েছে। জবাবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন,সাংবাদিকরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছেন। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কথায় নয় আপনাদের মতামত নিয়ে যাচাই বাছাই
করে পিআইসি অনুমোদন দেবো।

error: Content is protected !!