হোম » প্রধান সংবাদ » রিমান্ড শেষে কারাগারে এসআই আকবর

রিমান্ড শেষে কারাগারে এসআই আকবর

সিলেট প্রতিনিধিঃ ৭ দিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানের উপর চালানো নির্যাতনের প্রাথমিক তথ্য দিয়েছেন বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া। তার দেওয়া প্রাথমিক তথ্যের একটি লিখত প্রতিদিবেদন জমা দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেম এর আদালতে তিনি এ প্রতিবেদন জমা দেন। এসময় আকবরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি কিংবা নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় আদলত আকবরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বিষয়টি জানান চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট সৈয়দ শামিম। তিনি বলেন,
তবে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আকবর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে রায়হানের নির্যাতনের বিভিন্ন আলামত নষ্ট করাসহ নির্যাতনের প্রাথমিক তথ্য দিয়েছেন। এসব বিষয় লিখিত করে একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তবে তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে আবারও তার রিমান্ড চাইতে পারবেন। এর আগে দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আকবরকে আদালতে হাজির করে পিবিআই।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান বলেন, ৭ দিনের রিমান্ডে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। এখন আমরা এগুলো যাচাই বাচাই করব। তার পরে প্রয়োজন হলে আবার রিমান্ড চাওয়া হবে। এর পর সন্তুষ্ট হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি চাওয়া হবে। এর আগে গত ১০ নভেম্বর দুপুর দেড়টায় সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেমের আদালতে তাকে হাজির করে পিবিআই সিলেটের তদন্ত কর্মকর্তা মো. আওলাদ হোসাইন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত হন রায়হান। তাকে ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহীসহ পুলিশ সদসরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।
ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, নগরের কাস্টঘরে গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সিলেট মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করেন। মামলাটি পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশে পিবিআইয়ের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
error: Content is protected !!