হোম » প্রধান সংবাদ » নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হামলার অভিযোগ, কানাডা প্রবাসী আটক

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হামলার অভিযোগ, কানাডা প্রবাসী আটক

লথিফ রানাঃ নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজমল হোসেন নামে এক কানাডা প্রবাসীকে আটক করা হয়েছে। সে নারায়ণগঞ্জের উত্তর চাষাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা হোসেনের ছেলে।

গতকাল রবিবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের পাশে সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নতুন কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ভাঙ্গা গøাসের আঘাতে মহসিন ইসলাম নামের পাসপোর্ট অফিসের এক সহকারী আহত হয়েছে।

খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশের উধর্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন।

আহত অফিস সহকারী মহসিন ইসলাম জানান, কানাডা প্রবাসী আজমল হোসেন পাসপোর্টের কাগজপত্র জমা দেন। কিন্তু টাকা জমা দেয়ার ব্যাংক রশিদ, কাগজপত্র সত্যায়িত ছিল না। স্ত্রী ও বাচ্চার কাগজের সমস্যা ছিল। কথাকাটাকাটির মধ্যেই তিনি রোহিঙ্গা কিনা তা যাচাই করার জন্য তাকে রোহিঙ্গা যাচাইয়ের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্টের জায়গা নিতে চাইলে তিনি রেগে যান। এক পর্যায়ে গøাসে আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলেন।

এঘটনায় আটককৃত কানাডিয়ান প্রবাসী আজমল হোসেন জানান, অফিস সহকারী শুধু আমার সাথে না আরো গ্রাহকের সাথেই খুব খারাপ আচরণ করছিল। সে গ্রাহকদের সাথে নানা আপত্তিজনক কথা বলছিল। স্ত্রী ও বাচ্চার পাসপোর্ট করার জন্য পাসপোর্ট অফিসে ছিলাম। আমাদের কাগজে কিছু সমস্যার কথা বলে অফিস সহকারী অনেক খারাপ আচরণ করেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে কাউন্টারের গøাসে আঘাত করি এবং তা ভেঙ্গে যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে সেখানে উপস্থিত কানাডিয়ান প্রবাসীর স্ত্রী মাকসুদা আক্তার বলেন, আমাদের তিন মাসের বাচ্চার ও আমার পাসপোর্ট করার জন্য এর আগে একবার এসে ফেরত গিয়েছি। আজ আমরা পাসপোর্টের আবেদন ফরম জমা দিলে ওই কর্মচারী তা নেননি। এসময় আমার স্বামীর সঙ্গে বাক-বিতÐা হয়। এক পর্যায়ে আমার স্বামী অফিসের গøাসে ধাক্কা দিলে তা ভেঙে যায় এবং ওই কর্মচারী আহত হন।

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসেপার্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো: মাহামুদুল হাসান দাবী করেন, আটক আজমল হোসেন কানাডা প্রবাসী। সে পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্র জমা দিতে আসেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সত্যায়িত করা ছিল না। তাকে সত্যায়িত করে দেয়ার কথা বললে এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে যেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয় সেই কাউন্টারের আঘাত করলে কয়েকটি গøাস ভেঙ্গে যায়।

এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, পাসপোর্ট অফিসে ভাঙচুর ও কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Loading

error: Content is protected !!