হোম » প্রধান সংবাদ » জয়পুরহাটে জেলা আওয়ামীলীগের জেলহত্যা দিবস পালন

জয়পুরহাটে জেলা আওয়ামীলীগের জেলহত্যা দিবস পালন

আহসান হাবীব আরমান, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ আজ বিকালে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমী অরিটরিয়ামে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুর সভাপতিত্বে জেল হত্যা দিবস পালন করা হয়। জেলা হত্যা দিবসে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, জেলা আওয়ামীলীগের সহঃসভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, মোমিন আহম্মেদ চৌধুরী, গোলাম হক্কানী, শেখর মজুমদার, নন্দনাল পার্শী, মিজানুর রহমান টিটু, মতিউর রহমান মিঠু,

 

পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম আজম, সাধারন সম্পাদক মাহমুদ হোসেন হিমুসহ আওয়ামীগের বিভিন্ন স্তরে নের্তৃবর্গ। বক্তারা বলেন ৩রা নভেম্বর ইতিহাসের কলংকিত জেল হত্যা দিবস। বাংলাদেশের রূপকারদের মধ্যে প্রধান ৫ জনকে ১৯৭৫ সালে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে চারজন জাতীয় ব্যক্তিকে সভ্যতার নিয়মনীতি ও আইনের শাসনের চরম লংঘন করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিভৃত প্রকোষ্ঠে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়। নির্মম এই জেল হত্যাকান্ডে নিহত চারজন হলেন: সাবেক উপ- রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আ হ ম কামরুজ্জামান। এই চার বঙ্গ সন্তানই বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

 

 

তাঁরা যেমন ছিলেন নির্ভীক, তেমন সৎ, ঠিক তেমনই দুরদৃষ্টি সম্পন্ন। এই কলঙ্কিত হত্যাকান্ডই প্রমাণ করে যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কারন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা ঠিকই জানত, এই চারজন যদি বেঁচে থাকেন, তবে ঠিকই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, যেমন তাঁরা দিয়েছিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে। এই চারজন বীর নাবিক পুরো নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে থেকে পুরো যুদ্ধটা চালিয়ে বিজয়ের বন্দরে পৌছেছিলেন সফলতার সাথে। জাতীয় ৪ নেতাকে গভীরভাবে স্মরন করছে এবং তাদের বিদেহেী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

error: Content is protected !!