হোম » প্রধান সংবাদ » তালতলীর রাখাইনদের বিরোধীয় জমি অর্থের বিনিময়ে গোপনে ইউএনও’র বিক্রির অনুমতি।

তালতলীর রাখাইনদের বিরোধীয় জমি অর্থের বিনিময়ে গোপনে ইউএনও’র বিক্রির অনুমতি।

বরগুনা প্রতিনিধি: রাখাইনদের বিরোধীয় জমি অর্থের বিনিময়ে তালতলীর ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই বিরোধীয় জমির দখল নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংঙ্কা রয়েছে। রবিবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ আলমগীর হোসেন ও তার ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া এমন অভিযোগ এনে ইউএনও’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
জানাগেছে, ২০১৫ সালে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া মৌজার ৯৬ নং খতিয়ানের ৯৩,৯৪,৯৫ ও ১০৬ নং দাগের ৪ একর জমি মোঃ আলমগীর হোসেন বিনা রেজিস্ট্রী স্ট্যাস্পে সাব-কবলা হিসেবে উতেনওয়েনের কাছ থেকে ক্রয় করেন। ওই সময় বিক্রির অনুমতি না থাকায় রেজিস্ট্রি করতে পারেনি আলমগীর। গত ৫ বছর ধরে ওই জমিতে আলমগীর হোসেন বাড়ী-ঘর নিমার্ণ শেষে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু এ বছর জুন মাসে নাজমুল হাসান চুন্নু তার ক্রয়কৃত জমি দাবী করে উপজেলা চেয়ারম্য্যান মোঃ রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার ও ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামানের কাছে অভিযোগ দেয়।
কিন্তু নাজমুল হাসান চুন্নু উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে তার জমির স্ব-পক্ষে তেমন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। গত ১৫ জুলাই বরগুনা জেলা যুগ্ম জজ ২য় আদালতে চিরন্তন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করেন চুন্নু। আদালত মামলাটি শুনানির জন্য দিন ধায্য করে। কিন্তু নাজমুল হাসান চুন্নু শুনানীতে অংশ না নিয়ে সময়ের আবেদন করেন। এদিকে মাথানচিং গোপনে ওই জমি বিক্রির অনুমতি চেয়ে তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকটে আবেদন করেন। খবর পেয়ে আলমগীর হোসেন ইউএনও কাছে এ জমি তার দাবী করে পাল্টা অভিযোগ দেন।
ইউএনও উভয় পক্ষকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুনানীতে অংশগ্রহনের জন্য নোটিশ দেন। উভয় পক্ষ শুনানীতে অংশগ্রহনের জন্য হাজির হন। কিন্তু ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান অজ্ঞাত কারনে শুনানী না করে ২২ সেপ্টেম্বর পুনরায় শুনানীর জন্য দিন ধায্য করেন। এদিকে ইউএনও শুনানীর নাটক করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গত ১ সেপ্টেম্বর মাথানচিংকে জমি বিক্রির অনুমতি দেন এমন অভিযোগ আলমগীর হোসেনের। জমি বিক্রির অনুমতি দেয়ার খবর পেয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন জমি বিক্রি অনুমতি বাতিল চেয়ে ইউএনও কাছে আবেদন করেন। ইউএনও ওই আবেদন গ্রহন করে সহকারী কমিশনানকে (ভুমি) ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
অপরদিকে মাথানচিং জমি বিক্রির অনুমতি পেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আমতলী সাব-রেজিষ্টার অফিসে দলিল দিতে আসেন। খবর পেয়ে আলমগীর হোসেন সাব-রেজিষ্ট্রারের কাছে দলিল না করতে আবেদন করেন। ওই দিন মাথানচিং দলিল দিতে পারেননি। পরে ২২ সেপ্টেম্বর তিনি তার সমুদয় জমি নাজমুল হাসান চুন্নুর কাছে দলিল মুলে সাব-কবলা দেয়। আলমগীর অভিযোগ করেন ইউএনও মোটা অংকের টাকা খেয়ে মাথানচিংকে জমি বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন।
এতে এই বিরোধীয় জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের আশংঙ্কা রয়েছে। ওই জমি বিক্রির অনুমতি ও দলিল
বাতিল করে আমার নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার দাবী জানাই। তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপরগতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের অফিসে আসতে বলেন।
error: Content is protected !!