হোম » প্রধান সংবাদ » উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১৭ অভিযোগ ইউজিসির গনশুনানিকে ‘আইওয়াশ’ বলছেন রাবি শিক্ষকরা

উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১৭ অভিযোগ ইউজিসির গনশুনানিকে ‘আইওয়াশ’ বলছেন রাবি শিক্ষকরা

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ ১৭টি বিষয়ে শিক্ষকদের একাংশের দেওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে গনশুনানির জন্য তলব করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে, এ শুনানি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ দিয়ে পরিচালিত স্বায়ত্বশাসিত একটি প্রতিষ্ঠানে ইউজিসির এ ধরনের অভিযোগের তদন্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে বেশ জোরালোভাবে। এসব শুনানি কিছুই না, আইওয়াশ বলেও মন্তব্য করছেন অনেক শিক্ষক।

ইউজিসির যে তদন্তসীমা বা দায়িত্ব কাঠামো তাতে তারা এ ধরনের অভিযোগের তদন্ত করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন,
বিষয়টা আমার কাছে পরিষ্কার না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এ অভিযোগ গুলো আদৌ সত্য কিনা? যদি সত্য হয় এসবের একটা বিহিত হওয়া উচিত। যেহেতু অভিযোগগুলো খুবই গুরুতর এবং একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা হানিকর। তাই খতিয়ে দেখতে হবে। প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া উচিত, যদি অভিযোগ ভিত্তিহীন হয় তাহলেও ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপার আছে।’

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ বর্তমান ভিসি স্যারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ শুনে আসছি। নিজের অবস্থানে যদি তিনি সৎ থেকে থাকেন, সেটা প্রমাণ করার এটা একটা মোক্ষম সময়। ইউজিসিতে কেন গণশুনানি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের সমস্যা নিজেরা তো করতে পারছে না। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কাঠামো সেটাতে এধরনের অভিযোগ সমাধানের কোন উপায় নেই। যে কারণে আমাদেরকে বাইরের হস্তক্ষেপ গ্রহণ করতেই হবে। এক্ষেত্রে ইউজিসি তাদের পরিসরেই করবে। এটাই স্বাভাবিক।

এদিকে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার আলি বলেন, ‘এসব শুনানি অনেকটা আইওয়াশ টাইপের হয়। এগুলোতে তেমন কিছু হবে না। বর্তমান উপাচার্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই এসব অভিযোগ।’ এবছরের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজের একাংশ রাবি উপাচার্যের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত’-সংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ ইউজিসির কাছে দাখিল করেন। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ইউজিসি অডিটরিয়ামে শুনানিটি হওয়ার কথা রয়েছে।

Loading

error: Content is protected !!