~ বিপ্লব কুমার শীল
কবিতা সাহিত্যের আদিমতম একটি শাখা। ধারনা করা হয়, যখন পৃথিবীর মানুষের কোনো অক্ষরজ্ঞান ছিলো না,
তখন মানুষের মুখে
কবিতা ছিলো। কবিতা নানা সময় নানা রুপে এসেছে।যেমন,সনেট,লিমেরিক, হাইকু
তেমনি বাংলা কবিতার এক নতুন সংযোজন ‘পরমাণুকাব্য’। তিন লাইনের অতি ক্ষুদ্র কবিতা পরমাণুকাব্য।
অনেকটা জাপানি হাইকু কবিতার কাঠামোর আদলে, কিন্তুু পরিপূর্ণ স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে তৈরী হয় ‘পরমাণুকাব্য’।
কবির দায়বদ্ধতা থাকে কবিতার প্রতি, নিজের এবং সমাজের প্রতি। তেমনি এক দায়বদ্ধতা কিংবা ভালোবাসার
জায়গা থেকেই পরমাণুকাব্য প্রবর্তন করেন কবি সুশান্ত পোদ্দার। তার নিখাদ কাব্যপ্রেম ও সৃজনশীলতার ফসল
পরমাণুকাব্য।
কবি সুশান্ত পোদ্দার এর লেখা অজস্র পরমাণুকাব্য ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
পরমাণুকাব্যের গঠন ও বৈশিষ্ট্যঃ- তিনটি পংক্তিতে সাজানো হয়েছে এ কবিতা। যথাক্রমে ৭, ৫, ৭ প্রথম লাইনে
৭টি, দ্বিতীয় লাইনে ৫টি, তৃতীয় তথা শেষের লাইনে ৭টি অক্ষর দিয়ে তৈরী হয় পরমাণুকাব্য। উল্লেখ্য এখানে
অক্ষরবৃত্ত ছন্দের রীতি অনুসরণ করা হয়েছে।
প্রথম লাইনে থাকবে একটি ভাব, আবেগ। দ্বিতীয় লাইনে প্রথম লাইনের প্রকাশিত ভাবনার অন্তর্নিহিত কারন
অথবা তাৎপর্য। তৃতীয় লাইনে প্রথম ও দ্বিতীয় লাইনে প্রকাশিত ভাবের পরিনতি অথবা প্রথম ও দ্বিতীয় লাইনের
সাথে সম্পর্ক স্থাপন।
এখানে দ্বিতীয় লাইনের সাথে তৃতীয় লাইনের অন্ত্যমিল বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন
জীবনের ঝুৃঁকি নিয়ে ভাঙা কাঠের পুল দিয়ে পার হচ্ছে মোরেলগঞ্জের ৩ ইউনিয়নের হাজারো মানুষ
পোরশায় অটোরিক্সার ধাক্কায় শিশু নিহত
জামালপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট, বিপাকে যাত্রীরা