হোম » প্রধান সংবাদ » চট্টগ্রামে প্ল্যাকার্ড হাতে পিতা হত্যার বিচার চাইল শিশু

চট্টগ্রামে প্ল্যাকার্ড হাতে পিতা হত্যার বিচার চাইল শিশু

জাহেুর রহমান সোহাগ,রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বুকের উপর দুই হাতের ছয় আঙ্গুলে দুই পাশ ধরে প্ল্যাকার্ড হাতে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে শিশু । লেখা আছে ; ‘আমাকে যারা মাত্র তিন বছর বয়সে এতিম করেছে, বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত করেছে, আমি রাঙ্গুনিয়ার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর জিল্লুর রহমান ভান্ডারীর খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’ প্ল্যাকার্ড হাতে সন্তান যখন আদালতের বারান্দায় বাবার খুনের বিচার দাবি জানায়, তখন মা শাহনাজ আকতার আদালতের সাক্ষীর কাঠগড়ায়। শিশুটি যখন কেঁদে কেঁদে বাবার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে, তখন আদালতপাড়ায় উপস্থিত অনেকের চোখ ভিজে ওঠে।

দৃশ্যটি ৮ বছর বয়সের শিশু মিনহাজুর রহমান জীবনের । সন্ত্রাসীরা যখন তার বাবা জিল্লুর রহমান ভান্ডারীকে হত্যা করে তখন তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। বর্তমানে সে প্রথম শ্রেণির ছাত্র। গত মঙ্গলবার ছিল মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন। এ উপলক্ষে তার মা শাহনাজ আক্তার, চাচা ইকবাল হোসেন ও নিজাম উদ্দিন আদালতে হাজির হন। এ করোনার মধ্যে ভাই হত্যার বিচারিক কার্যক্রম তদারকি করতে সৌদি আরব থেকে এক সপ্তাহ আগে এক প্রকার উড়ে এসেছেন ইকবাল হোসেন। শিশু মিনহাজও তার পিতার হত্যাকারীদের বিচার চাইতে আদালতে এসেছিল।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পিপি লোকমান হোসেন বলেন, চাঞ্চল্যকর জিল্লুর ভান্ডারি হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত দিন ছিল ১৮ আগস্ট। কিন্তু আসামিপক্ষ তাদের নতুন আইনজীবী নিয়োগ করার কথা জানিয়ে মামলার নথি পর্যালোচনার জন্য আরও সময় চান। শুনানি শেষে আদালত নথি পর্যালোচনার জন্য আসামিপক্ষের নতুন আইনজীবীকে ১০ দিন সময় দিয়ে আগামী ২৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।তিনি বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয় মাসের মধ্যেই মামলাটি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য দ্রুত সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আমরা বারবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাচ্ছি।

২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে রানিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে জিল্লুর রহমান ভান্ডারিকে মারধর ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর সিআইডি শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ খোকনকে প্রধান করে ১৩ জনের নামে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। ১৩ আসমির মধ্যে খোকন ও জসিম কারাগারে থাকলেও চার আসামি জামিনে রয়েছেন। বাকি সাতজন পলাতক।

Loading

error: Content is protected !!