হোম » প্রধান সংবাদ » রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১৭ অভিযোগে গনশুনানি

রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১৭ অভিযোগে গনশুনানি

আবু সাঈদ সজল, রাবিঃ  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ ১৭টি বিষয়ে শিক্ষকদের একাংশের দেওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে গণশুনানি করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ইউজিসি।

ইউজিসির জেনারেল সার্ভিসেস এন্ড এস্টেট ডিভিশনের সিনিয়র সহকারি পরিচালক গোলাম দস্তগির স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে শুনানির বিষয়টি জানা গেছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ইউজিসি অডিটোরিয়ামে এই  শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।  সেখানে অভিযোগ কারী ও অভিযুক্তদের উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।

সেদিন( ১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩ টায় অভিযোগ দলিলপত্র সহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। নোটিশে জানানো হয়, ” অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান কর্তৃক মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে ধোঁকা দেওয়া ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে উপাচার্যের মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ প্রদান, এডহক ও মাস্টাররোলে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য,  উপাচার্যের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট ১৯৭৩ লংঘন করে বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি নিয়োগ ইত্যাদি অভিযোগসমূহ তদন্ত করার নিমিত্তে কমিশন কতৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনাদের সাক্ষাতকার গ্রহণের জন্য  তদন্ত কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

এর আগে এবছরের গত ০৪ জানুয়ারি উপাচার্যের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত’-সংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে মোট ১৭ টি অভিযোগ আনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশ ‘দূর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজ’।

প্রতিবেদন তৈরি ও দাখিলের আগে থেকেও উপাচার্যের দূ্র্নীতির অভিযোগ তুলে ‘ দূর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজ’ এর ব্যানারে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষকরা। তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান। শুনানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, শিক্ষামন্ত্রনালয়, ইউজিসিসহ চার দপ্তরে আমরা অভিযোগ দিয়েছিলাম। সে অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ তদন্তের জন্য ইউজিসি  একটা গণশুনানির আয়োজন করেছে।

সেখানে উভয়পক্ষকে ডেকেছেন তারা।  এটি আসলে একটি ত্রিপক্ষীয় শুনানি। যারা অভিযোগ দিয়েছিলেন তাদের তিনজনকে সেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে৷ চিঠিতে কারও নাম উল্লেখ করেনি ইউজিসি। যাদেরকে ডাকা হয়েছে শুধুমাত্র তাদেরকেই চিঠি দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের মধ্য থেকে কাদেরকে ডাকা হয়েছে সেটি জানাতে পারেননি অধ্যাপক মজিবুল হক আজাদ খান।

Loading

error: Content is protected !!