হোম » প্রধান সংবাদ » ভৈরবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান

ভৈরবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান

এম আর ওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ সায়দুল্লাহ মিয়া। গতকাল সোমবার বিকালে ভৈরব ফেরিঘাট এলাকা থেকে লঞ্চ যোগে যাত্রা শুরু করেন তিনি। যাত্রা পথে তিনি আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া, কলাপাড়া ও শ্রীনগর ইউনিয়নের বধূনগর ও জাফরনগর গ্রাম পরিদর্শন করেন। এসময় সফর সঙ্গী হিসেবে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, বর্ষার আগমনে অতি বৃষ্টি ও উজানের পানির প্রাদুর্ভাবে সারা দেশের ন্যায় ভৈরবেও দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে প্লাবিত হয়েছে আগানগর, শ্রীনগর ও সাদেকপুর ইউনিয়নের বেশ কটি গ্রাম। বন্যায় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গ্রাম গুলো। প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়ি বিনষ্ট হয়েছে। অনেক রাস্তা পানির স্রোত আর তীব্র ঢেউয়ের কারনে বিলীন হয়ে গেছে। ফসলী জমি সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যা প্লাবিত এলাকার লোকজন পানি বন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন পার করছে।

এসময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লুন্দিয়ার লোকজন বেড়িবাঁধসহ পাকাকরণ রাস্তা ও লুন্দিয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলটি নতুন করে চালু করা এবং বধূনগর ও জাফরনগর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন  বেড়িবাঁধসহ পাকাকরণ রাস্তা, পূর্বের রাস্তা উচুকরণ, ঈদগাহ ও কবরস্থানে মাটি ভরাট, সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন ও শ্রীনগর নতুন বাজারে সেতু নির্মাণের দাবী জানান।

পরিদর্শনের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান লুন্দিয়া বাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে বলেন ইতিমধ্যে রাস্তাগুলো নির্মানের প্রক্রিয়া হয়ে গেছে। কিছু রাস্তার বরাদ্দ চলে এসেছে। বর্ষার পানি নেমে গেলেই কাজ শুরু হবে। আর লুন্দিয়া নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলটিতে সরকারী অনুদান টাকা প্রবেশ করেছে। তাছাড়া খুব শীঘ্রই স্কুলটির বাউন্ডারী ওয়ালের টেন্ডার হবে। দ্বন্দ্ব নিয়ে স্কুল বন্ধ রাখার কোন ব্যবস্থা নেই। স্কুলটি সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুন্দর করে পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্থানীয় সরকারের ভৈরব প্রতিনিধি ভৈরব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ সায়দুল্লাহ মিয়া শ্রীনগর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের কোন দাবী অপূর্ণ থাকবে না। দাবীকৃত রাস্তা গুলোর বরাদ্দ পাস হয়ে গেছে। নতুন আবেদনের দাবী গুলোও পূরণ করা হবে। তাছাড়া নতুন বাজার থেকে ইসলামপুর পর্যন্ত সেতুটি খুব তাড়াতাড়ি টেন্ডারের মাধ্যমে শুরু হবে।

error: Content is protected !!