এইচ এম কাওসার মাদবর: ঈদুল আজহার বাকী আর মাত্র ৩ দিন। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কামার শিল্পীদের লোহার যন্ত্রপাতি তৈরিতে রাতভর ব্যস্ত সময় কাটানোর কথা থাকলেও তারা এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আমতলী-তালতলীর অধিকাংশ মানুষের পশু কোরবানীতে আগ্রহ নেই। তাই কামার শিল্পীদের বেহাল অবস্থা।
কোরবানীর গবাদিপশু জবাই করতে এবং মাংস তৈরীতে দা, কুঠার, ছুড়ি, চাপাতি ও কাটারী বেশি প্রয়োজন। এ যন্ত্রপাতি তৈরিতে আমতলী-তালতলী উপজেলা ও হাট বাজারের কামার পাড়ায় কামার শিল্পীরা রাতভর টুংটং শব্দে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারনে কাজ কম থাকায় এখন তারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। কাজ নেই বললেই চলে বলে জানান কামার শিল্পী গৌরঙ্গ কর্মকার।
মঙ্গলবার আমতলী কামারপাড়া ঘুরে দেখাগেছে, কামার কারিগড়রা দা, বটি, কুঠার, কাটারী ও ছেনিসহ প্রয়োজনীয় লোহার যন্ত্রপাতি তৈরি করে পশরা সাজিয়ে বসে আছেন। কিন্তু ক্রেতা নেই। দু’একজন ক্রেতা আসলেও তারা দাম কসাকসি করে চলে যাচ্ছেন নিচ্ছেন না। কামার শিল্পী গৌরঙ্গ কর্মকার বলেন, তেমন ক্রেতা নেই। তাই কাজও নেই। নিরবে বসে আছি। এ বছর কি অবস্থা হয় আল্লাই জানে।
আমতলীর শ্যাম কর্মকার বলেন, কোন গাহেক নাই। মানে কোন কিছু বানায় না। দুই এক জন গ্যাহেক আইয়্যা চইল্ল্যা যায়। গাজীপুর বাজারের শম্ভু কর্মকার, বলেন, করোনার কারনে মানুষ এখন আর কিছুই তৈরি করতে চায় না। আমতলী পৌর শহরের গৌরাঙ্গ কর্মকারের দোকানের শ্রমিক পবিত্র কর্মকার বলেন, ঈদকে সামনে রেখে তেমন কাজই নেই । কিছু কাজ হয় তা দিয়ে চলে না।
আমতলী কর্মকার সমিতি’র সভাপতি পরিতোষ কর্মকার বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষের পশু কোরবানীতে আগ্রহ নেই । কোরবানীতে আগ্রহ না থাকার কারনে লোহার তৈরি যন্ত্রাংশের তেমন কদর নেই। তাই কামার শিল্পীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। এ কামার শিল্পীদের বঁাচিয়ে রাখতে সরকারীভাবে প্রনোদনা দেয়া খুবই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন
লালমনিরহাটে কোটা আন্দোলনের রোষানলে ৬ সাংবাদিক, বাড়ি ছাড়া ৩ সাংবাদিক
জয়পুরহাটে বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা
সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল