হোম » প্রধান সংবাদ » স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেটসহ রেকর্ড ক্লাস চায় রাবি শিক্ষার্থীরা

স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেটসহ রেকর্ড ক্লাস চায় রাবি শিক্ষার্থীরা

আবু সাঈদ সজল,রাবিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ০৯ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে অনলাইনে ক্লাস। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে শুরু থেকেই অনলাইন ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে নানা সমস্যায়। তবে, রাবি শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপনে দুটি বিষয় উঠে এসেছে। ১.স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট দেয়ার দাবি।
২. লাইভ ক্লাস নয়, রেকর্ড ক্লাস চায় তারা পাশাপাশি শিক্ষার্থী জানিয়েছে, অনলাইন ক্লাস করতে তাদের নেটওয়ার্ক সমস্যা, মোবাইল ডাটা ক্রয়ের সামর্থ্য নেই, অনলাইনে ক্লাস করার মত মোবাইলও নেই অধিকাংশের। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম অনলাইন ক্লাস করার অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও অভিযোগের গল্প তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-আবু সাঈদ সজল।
অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম দুখু বলেন, শেষ ক্লাসে বসেছি গত ১৬ ই মার্চ। তারপর করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)  সংক্রমণের আশংকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় ক্যাম্পাস। মহামারির ক্ষত অর্থনীতি,সামাজিক সকল স্তরেসহ শিক্ষা খাতেও দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাসের ব্যাপারে হঠাৎ যে নোটিশ দেয়। তাতে হুট করে ১ দিন আগেই জানানো হয় ক্লাস শুরু হবে। অনেকেই প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে অবস্থান করার দরুন নেটওয়ার্কের  সমস্যা।
শতভাগ স্মার্টফোন না থাকা। এছাড়াও এই দুর্যোগকালে নেট খরচ চালানো অনেক ছাত্র-ছাত্রীর পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় হয়ত কয়েকদিন ক্লাস চালানো সম্ভব হলেও দীর্ঘ সময়ে এটা খুব একটা ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করছি না।
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক  ইন্জিনিয়ারিং ( ইইই) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টে গত একমাস যাবৎ অনলাইন ক্লাস হচ্ছে।  এটাকে কোনোভাবে ক্লাস বলা যাবে না, বলা যায় জাস্ট ছাত্র শিক্ষক মতবিনিময় বা ইন্টারেকশন বলতে পারেন।  প্রায় ৬০% শিক্ষার্থী ক্লাসই করতে পারছে না, আমি ক্লাস প্রতিনিধি(সিআর) হিসেবে আমার মনে হয়েছে,  কারো এলাকায় একেবারেই নেটওয়ার্ক থাকে না, কারো মাঝেমধ্যে থাকে, যেটা দিয়ে লাইভ ক্লাস করা সম্ভব না।
আবার কয়েকজনের স্মার্ট ফোনই নাই৷  তবে মেক্সিমাম ছাত্রছাত্রীর যেটা অভিযোগ সেটা হলো এমন দাম  দিয়ে ইন্টারনেট কেনে ক্লাস করা সম্ভব নয়। আমি যদি জুম এপস এর কথা বলি তাহলে এক ঘণ্টা ক্লাস এ প্রায় ৫০০ এমবি এর মত খরচ হয়, তাই দিনে যদি ৩ টা ক্লাস করা হয় তাহলে ১.৫ জিবির মত খরচ, যেটার অনেকের পক্ষেই বহন করা সম্ভব নয় ।
এগুলো চিন্তা করে আমরা কয়েকদিন ক্লাস করেই সব ক্লাস অফ করে দেই, কারণ অসমতা সৃষ্টি শিক্ষার কোন উদ্দেশ্য হতে পারে না।  তবে যদি ক্লাস করা একান্তই বাধ্য হয়, তবে স্যাররা যদি ভিডিও রেকর্ড করে রাখে, যেটা পরে ছাত্রদের দিয়ে দিলে তারা পরে সুযোগ বুঝে দেখে নিবে, এটা করলেও একটু ভালো হয়। তাই আমার মতে অনলাইন ক্লাস যদি চলতেই হয়, তাহলে সবার সুবিধার কথা মাথায় রাখতে হবে, এখানে যেন কেউ বৈষম্যের শিকার না হয়।
উর্দু বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুইটি আক্তার বলেন, আসলে আমার কাছে অনলাইনে ক্লাসগুলো করতে ভালোই লাগছে। কিন্তু সমস্যা  হচ্ছে ২-১ দিন ক্লাস করাটা ব্যাপার না, সেজন্য মেগাবাইট কেনাটাও ব্যাপার না,কিন্তু জুম অ্যাপ বা গুগল-ক্লাসরুমের মাধ্যমে সপ্তাহে ৪-৫ দিন ক্লাস করাটা একটু কষ্টই হয়ে যাবে।ক্লাসগুলোর সময়সীমা সাধারণত ১ ঘন্টা করে, আর তাতে দেখা যাচ্ছে একটা ক্লাস করতে গিয়েই অনেক এমবি শেষ হয়ে যাচ্ছে।  তারপর যদি এক দিনে ২-৩ টা ক্লাস করতে হয় তাহলে একদিনেই ১জিবি শেষ হয়ে যায়।
আমার এখানে যেহেতু জিপি বাদে কোন মোবাইল অপারেটরেই ভালো নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না সেহেতু আমি জিপি এর কথাই বলছি।জিপি তে ১জিবি ইন্টারনেটের মূল্য ৫২ টাকা মেয়াদ ৭ দিন, আর ৫৮ টাকার ৩ জিবি মেয়াদ ৪ দিন।তাহলে একটু ভেবে দেখুন এই ক্লাস করার পেছনে প্রতি মাসে কত টাকা ব্যয় হবে! আর এই ব্যয় বহন করা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে একটু কষ্টই হয়ে যাবে, তবুও আমাকে তো ক্লাস করতেই হবে কারণ আমি ক্লাস না করলে আমি নিজেই সবার থেকে পিছিয়ে পড়ব। অন্যদিকে যারা নিম্নবিত্ত পরিবারের আছেন তারা এই করোনার মধ্যে এমনিতেই সমস্যার মধ্যে আছেন,তার পরে এই এত টাকার ইন্টারনেট কিনে ক্লাস করাটা তাদের কাছে বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু না।
আর বিলাসিতা উচ্চবিত্তদের মানায়, নিম্নবিত্তদের নয়। তবে হ্যাঁ, যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ইন্টারনেট কেনার অর্থ বহন করেন তাহলে হয়তো অনেকের কাছেই এটা অতিরিক্ত একটা বোঝা মনে হবে না। আর ক্লাস গুলো লাইভে সীমাবদ্ধ না রেখে ভিডিও করে শিক্ষার্থীদের দেয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে।  যদি প্রতিমাসে এত টাকা ব্যয় করে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী ছাড়া আর কাউকেই এই অনলাইনে ক্লাস করতে দেখা যাবে না।
অনলাইন ক্লাস  কার্যক্রম প্রসঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মৌ সাহা বলেন, মহামারীর কবলে বিপর্যস্ত উচ্চশিক্ষা পরিস্থিতি। ইউজিসি থেকে ‘অনলাইন-ক্লাস’ চালুর ঘোষণায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও গত ৯ জুলাই থেকে ‘অনলাইন-ক্লাস’ চালু করার সিদ্ধান্তে এসেছে। তবে অপরিকল্পিত, অপ্রস্তুত, ও বৈষম্যমূলক পন্থায় ও চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তা চালু হয়েছে। মহামারীর কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বাড়ি ফিরে গেছে এবং প্রান্তিক স্থানে উপযুক্ত ইন্টারনেট সংযোগ নেই। আমাদের ক্লাস শুরু হয়েছে ১০ জুলাই থেকে।
প্রথম দিন উপস্থিতি ৬০ জনের অধিক হলেও  দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় সমস্যা। কারও বাসায় বিদ্যুৎ নেই। কারও ওয়াই-ফাই ঠিকমতো কাজ করছে না কিংবা কারো নেট। শিক্ষক সময়মতো ক্লাসে জয়েন করাতে পারছেন না। জুমে ক্লাসের কারণে অনেকেই এটা সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে অবগত না এজন্য তারা ব্রাউজিং এ সমস্যা সৃষ্টি করছে। কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তর পাওয়া যায় না, কারণ অপর প্রান্তের মানুষটার ইন্টারনেটে সমস্যা হচ্ছে। কেউ জয়েন করতে করতে ক্লাস শেষ।
বিভাগের ১২০ জনের একটি ক্লাসের জরিপে দেখা যাচ্ছে  ৩৫-৪০  জন শিক্ষার্থীরই অনলাইন ক্লাসে অংশ নেবার মতো ডিভাইস বা ইন্টারনেট কেনার মত অর্থ নেই। যদিও অনলাইন ক্লাসের ফলে সেশনজট কিছুটা লাঘব হবে তথাপিও ইন্টারনেট খরচ কর্তৃপক্ষ বহন না করলে বৈষম্যের শিকার হবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী। আর ক্লাসগুলো ভিডিও করে আপলোডের বিষয়ে ভাবতে হবে। এতে ইন্টারনেট খরচ অনেকটা কমবে বলে আমি মনে করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের হাসান রেজা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে গত ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হয়। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য অনুমোদন দেন( ইউজিসি)। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে অনলাইন ক্লাস নেয়া শুরু করেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে অনেকটা পুনরায় দূর থেকে কিছুটা হলেও ক্লাসসহ যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তবে অনলাইন ক্লাস অনেক ব্যয়বহুল,যেটা অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া আমি নিজেও প্রথমদিন ক্লাস করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।প্রথমত আমার অধিকাংশ সহপাঠী নেটওয়ার্ক সমস্যা, ইন্টারনেট ও স্মাটফোনের অভাবে ক্লাস করা তে পারছেনা। তাদের অধিকাংশের পরিবারই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নয়। তাদের অনলাইনে ক্লাস করার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাজেট (ল্যাপটপ, স্মার্টফোন) নেই, ইন্টারনেট কেনার সামর্থ্য নেই, আর দুর্বল ইন্টারনেট সিগন্যাল তো আছেই।
শুধু তাই নয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০% শিক্ষার্থীর কাছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার মতো গ্যাজেট নেই, ডাটা কেনার সামর্থ্য নেই ভালো স্মাটফোন বা ল্যাপটপ নাই। সমাধান এদেরকে গ্যাজেট, স্মাটফোন, ডাটা কিনে দিতে হবে।  সরকার তহবিল গঠন করে অর্থায়ন করলে নইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজস্ব তহবিল থেকে এই সংকট কালে সহায়তা করতে পারে।
অথবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রথমবর্ষে ভর্তির ফরম বিক্রি করে প্রাপ্ত তহবিলও এ কাজে ব্যবহার করতে পারে।  যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ উদ্যোগে গ্রহণ করলে অনেকটা শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসমুখী হবে এবং শেসনজট থেকে উত্তোরণ পাবে শিক্ষার্থীরা।
ফোকলোর বিভাগের সাওদা জামান রিসা বলেন, দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হবার কয়েকদিন পরই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে অনলাইন ক্লাসের নির্দেশনা দেয়া ইউজিসি। পরবর্তীতে গত ০৯ জুলাই অনলাইন ক্লাসের ঘোষনা দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আগে ক্লাস রুমে যেমন পূর্নতা ছিল অনলাইন ক্লাসে তেমনটি নেই।
আবার অনেক শিক্ষার্থী ইন্টারনেট এর সমস্যার জন্য ক্লাসে অংশ গ্রহণ ও করতে পারছে না। চলমান করোনা পরিস্থিতির জন্য অনেকের পরিবারের আর্থিক অবস্থায় ভাঙন ধরেছে। তাই ইন্টারনেট প্যাকেজ ক্রয়ের সক্ষমতা অনেকেরই নেই। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকার যদি ইন্টারনেট বিলের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকেন তবে এ সমস্যা কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস এ অংশ নিতে পারবে। ইতিমধ্যে আমরা শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের যে ভূমিকা দেখেছি তা অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে।
নইলে মাসের পর মাস ক্লাস থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে সেশন জটে আটকে পড়ার সম্ভাবনাময় থেকেই যায়। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে আমরা সেই শেসনজট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। অন্যদিকে পিডিএফ বই শেয়ার এবং ওয়েব নয় ভিডিও করে ক্লাসগুলো আপলোড দিলে স্বল্প ইন্টারনেটে তা শিক্ষার্থীদের জন্য সহজলভ্য হবে। তাই ইন্টারনেটের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বহন করলে আমি আশাবাদী শতভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসমুখী হবে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আমরা অনলাইন ক্লাস শুরু করতে চেয়েছি। হয়েছে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সমস্যায় কথা বিবেচনায় রেখে উপাচার্য টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছেন। কমিটি অনলাইন ক্লাসের খুটিনাটি সমস্যা সম্পর্কে প্রশাসনকে অবহিত করবেন। পরে সেটা সমাধান করা হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারে শিগগিরই সুখবর আসছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের টেলিকম কোম্পানিগুলোকে সর্বনিম্ন হারে ইন্টারনেট দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে অপারেটরদেরকে তাদের বিটিএসগুলোকে ৪জি করারও নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার গতি ত্বরান্বিত হোক এই কামনায়। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে কীভাবে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া যায় সেবিষয়ে প্রস্তাব করেছেন।
ভাইয়া, সিম্পোজিয়াম ধরনের নিউজটির প্রত্যেকের মতামতের সাথে ছবি এড করে দিবেন এবং প্রধান ছবিতে সবার ছবি এক করে দিবেন। নিউজটি ইডিট করে ছোট করে হলেও প্রিন্টে ধরার অনুরোধ রইলো।
শেয়ার করুন আপনার পছন্দের সোশ্যাল মিডিয়ায়
 
 
 
     
error: Content is protected !!