হোম » প্রধান সংবাদ » বিপৎসীমার ২৮ সে.মি উপরে তিস্তার পানি, খুলে দেয়া হলো ৪৪ গেট

বিপৎসীমার ২৮ সে.মি উপরে তিস্তার পানি, খুলে দেয়া হলো ৪৪ গেট

মিজানুর রহমান, হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম প্রতিনিধিঃ-   অবিরাম বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি আবারও হুহু করে বাড়ছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) বিকেল ৫টায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তবে সকালে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বিকেল হতে না হতেই বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ২৮ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার এ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা তীরবর্তী লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও সদর উপজেলার পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে এ অঞ্চলে ফের বন্যার আশঙ্কা করছে নদী পাড়ের মানুষ। তবে ধরলার পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দেয়ায় বাড়তে থাকে পানি। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী, চর বৈরাতী; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোরবর্ধন, পলাশী; লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর, গোকুন্ডা ও তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সকালের তুলনায় পানিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।’
error: Content is protected !!