হোম » প্রধান সংবাদ » স্বেচ্ছাসেবীদের নিরাপত্তায় সাংসদ এস এম জগলুল হায়দারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

স্বেচ্ছাসেবীদের নিরাপত্তায় সাংসদ এস এম জগলুল হায়দারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

মারুফ বিল্লাহ রুবেল. শ্যামনগর থেকেঃ মহামারীর মধ্যে শ্যামনগরের ৬ টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সুরক্ষা সরঞ্জাম উপহার দিলেন সাতক্ষীরা ৪ আসনের মানবিক সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার।বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বিকাল ৫ টায় এমপি জগলুল হায়দার এর বাস ভবনে এই সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। করোনা মহামারী শুরু থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে শ্যামনগরের স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন গুলো। তাদের কাজ আরও বেড়ে যায় ঘূর্ণিঝড় আরফানের পরবর্তী সময়ে। শ্যামনগরের ছয়টি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রায় হাজারখানেক কর্মী প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে মানবতার সেবায়। সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া জনগণের সাথে কাজ করা ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
এর মধ্যে কোভিড ১৯ এর প্রভাব আরো বেড়ে যায় ফলে বেড়ে যায় লকডাউন এর পরিধি। স্বেচ্ছাসেবীদের ঝুঁকি নিয়ে করা কাজ নজর এড়ায়নি শ্যামনগরের অভিভাবক এস এম জগলুল হায়দারের। সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেন তিনি। এস এম জগলুল হায়দার বলেন, নিরাপদে থেকেই কাজ করে যেতে হবে স্বেচ্ছাসেবীদের। একই সাথে মানুষকে করতে হবে সচেতন। জরোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চলছে তাতে জয় পেতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। সামনে থেকে যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা
কোভিড যোদ্ধাদের নিরাপত্তায় পিপিই গাউন, ফেস শিল্ড, এন ৯৫ প্রটেকটিভ ফেস মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ সম্পুর্ণ সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্তা করা হয়েছে। মাননীয় সাংসদ জগলুল হায়দারের এমন উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে কৃতজ্ঞ আরি সফটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আয়েশা শারমিন। তিনি বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, করোনা পরিস্থিতির এই কঠিন সময়ে স্বেচ্ছাসেবীদের পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত।
পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছে রহমান ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের পরিচালক আরাফাত রহমান হীরা বলেন, মানবতার সেবায় সব সময় কাজ করতে চায় রহমান ফাউন্ডেশন। আগামীতে আরো বেশি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা থাকবে।
এর আগেও মানবতার সেবায় স্বেচ্ছাসেবী এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটি ‌।
করোনা মহামারীর প্রকোপ বাড়ায় কাজের পরিধি বেড়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা মানুষদের দাফন-কাফন থেকে শুরু করে আক্রান্তের বাড়ি লকডাউন, তাদের বাজার করে দেয়া সবখানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। শ্যামনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও, স্টুডেন্টস সলিডারিটি, শ্যামনগর অনলাইন বাট ব্যাংক, শ্যামনগর ব্লাড ব্যাংক, শব্দের ফেরিওয়ালা ও উৎসর্গ সোসাইটি প্রাণন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মানুষের পাশে থাকতে।
error: Content is protected !!