হোম » প্রধান সংবাদ » মিরসরাইয়ে বিএসআরএম কারখানা থেকে গ্রেনেড উদ্ধারে তোলপাড়

মিরসরাইয়ে বিএসআরএম কারখানা থেকে গ্রেনেড উদ্ধারে তোলপাড়

ইকবাল হোসেন জীবন,মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মিরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড়ে অবস্থিত বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের কারখানা থেকে একটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। জোরারগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের কারখানায় স্ক্র্যপের কাচামালের সঙ্গে একটি তাজা গ্রেনেড দেখেতে পায় শ্রমিকরা। গ্রেনেড দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা সঙ্গে সঙ্গে জোরারগঞ্জ থানাকে খবর দিলে থানা থেকে পুলিশ এসে দেখে এটি একটি তাজা গ্রেনেড। জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজমকে জানান।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা সেটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা একপর্যায়ে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে রাতে সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিকেল তিনটার দিকে বিএসআেএম কারখানা থেকে থানায় একটি বোমা পাবার খবর জানানো হয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লোহার রড তৈরির কাঁচামালের মধ্যে একটি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে আছে। আমি তখন সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউরিটের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিটকে খবর দিই তারা এসে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে রাতে নিষ্ক্রিয় করে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) পলাশ কান্তি নাথ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জোরারগঞ্জ থানা থেকে খবর পেয়ে বোম ডিসপোজাল ইউনিটিকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হলে তারা সেটি শনাক্ত করে পাশের একটি খালি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেন। এছাড়া কারখানার ভেতরে আর কোনো গ্রেনেড আছে কিনা তাও দেখা হয়। তবে আর কোনো গ্রেনেড সেখানে পাওয়া যায়নি। পুরো অভিযানটিতে নেতৃত্ব দেন বোম ডিসপোজাল ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।
error: Content is protected !!