হোম » প্রধান সংবাদ » হরিপুরের সর্বকনিষ্ঠ বিসিএস ক্যাডার নাজমুল হাসান

হরিপুরের সর্বকনিষ্ঠ বিসিএস ক্যাডার নাজমুল হাসান

জে.ইতি হরিপুর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : হরিপুরের সর্বকনিষ্ঠ বিসিএস ক্যাডার-নাজমুল হাসান কোনদিন কোচিং না করেও নিজের প্রথম ৩৮ তম বিসিএসেই পিএসসি কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বাজিমাত করলেন হরিপুরের কৃতি সন্তান নাজমুল হাসান লিটন। জানা যায়,নাজমুল হাসান লিটন ৩৮ বিসিএস ক্যাডার সুপারিশকৃত ২২০৪ জন প্রার্থীর মধ্যে বিসিএস (লাইভস্টক) এ ৫ম স্হান অর্জন করেন।

নিজের প্রথম বিসিএস আবেদন করেন তিনি এপ্র্যায়ার্ড দিয়েই।আর সেখান হতেই তিনি আজ ২৬ বছর বয়সেই বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন হতে সুপারিশপ্রাপ্ত।নাজমুল হাসান লিটন তার ২য় বিসিএস তথা ৪০ তম বিসিএসে লিখিত ফলাফলের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ এর এনিমেল সাইন্স বিভাগের বর্তমানে মাস্টার্স থিসিসে অধ্যয়নরত।

নাজমুল হাসান লিটন ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ০৬ নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের ঢাকদহ গোপালপুরের মোঃ জসীমউদ্দিন ও নিলুফা ইয়াসমিন এর বড় ছেলে। বাবা জসীমউদ্দিন পেশায় একজন কৃষক ও মা নিলুফা ইয়াসমিন একজন গৃহিণী।নাজমুল পরিবারের তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। তার মেজো ভাই মোঃ নাঈমুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছোট ভাই নাহিদ হাসান লিমন কাঁঠালডাংগী আর এ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাএ। ৩৮ তম বিসিএস সুপারিশকৃত নাজমুল হাসান লিটন তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন ঢাকদহ গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হতে। সেখান হতে তিনি পঞ্চম শ্রেণিতেই মেধার স্বাক্ষর রাখেন বোর্ড বৃত্তি প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে।এরপর তিনি ২০১০ সালে কাঁঠালডাংগী আর এ উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ হতে জিপিএ-৫ পেয়ে উর্ওীণ হন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে রংপুর পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ হতে বিজ্ঞান বিভাগ হতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান।

একসময় চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে মেডিকেল কোচিং করেন।কিন্তু সেই আশা অল্পের জন্য পূরণ হয়নি সদ্য বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত নাজমুল হাসানের।প্রথমবারেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তিনি বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সুযোগ পান এরপর তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। ৩৮ তম বিসিএস রেজাল্টের দিন লকডাউনের কারণে তিনি নিজের বাসায় অবস্থান কালে বিসিএস সুপারিশকৃত হয়েছেন সুসংবাদটি পান।তার এই সাফল্যের খবর শুনে বাবা ও মা বলেন-এই সাফল্যের খবর শুনে অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা আমরা আজ হারিয়ে ফেলেছি। মহান আল্লাহ আজ আমাদের কষ্ট ও পরিশ্রম সার্থক করেছেন।আমরা খুবই আনান্দিত।নাজমুলের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই সে যেন একজন আদর্শবান প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করতে পারে।

নাজমুল হাসান লিটন বলেন, বিসিএস ক্যাডার হওয়া সকলেই স্বপ্ন দেখে!আমি ক্যাডার সার্ভিসে উর্ওীণ হয়ে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।আমার এই সাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার বাবা-মায়ের।তারা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন ও সবসময় সাহস যুগিয়েছেন এবং দোয়া করেছেন বলে আমি আজ এতদূরে আসতে পেরেছি।তিনি বিসিএস প্রত্যাশীদের জন্য বলেন, বিসিএস ক্যাডার হব স্বপ্ন দেখার সাথে সাথে নিজের মেধা,ধৈর্য,পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। সষ্টিকর্তা চাইলে যে কারোও পক্ষে বিশ্বজয় করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, নিজের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে দেশ ও জাতির সেবা করে যেতে চাই এজন্য আমি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।

error: Content is protected !!