হোম » প্রধান সংবাদ » ভৈরবে ৯ হাজার মানুষ পানি বন্দি, সেতু ও রাস্তা নির্মানের দাবী

ভৈরবে ৯ হাজার মানুষ পানি বন্দি, সেতু ও রাস্তা নির্মানের দাবী

এম আর ওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শ্রীনগর ইউনিয়নের বধূনগর গ্রামে ৯ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বর্ষা ও উজানের পানি, মেঘনা নদী থেকে বৃদ্ধি পেয়ে জোয়ান শাহী হাওর ও শীতল পাটি নদী বেয়ে প্লাবিত করেছে বধূনগর গ্রামটি। ভৈরবের সাত ইউনিয়নে এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে বর্তমান উন্নয়নমুখী সরকারের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে ঢাকা থেকে সরাসরি সড়ক পথে গাড়ি দিয়ে আসা-যাওয়া করা যায় না। কিন্ত শ্রীনগর ইউনিয়নের বধূনগর গ্রামটি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে শ্রীনগর ইউনিয়ন তথা ভৈরব শহর থেকে।

 

শুকনো মৌসুমে যাতায়াত ব্যবস্থা থাকলেও বর্ষাকালে একমাত্র বাহন নৌকা ছাড়া আর কোন মাধ্যম নেই যাতায়াতের। এতে করে দুর্ভোগের শেষ নেই বধুনগর গ্রামবাসীর। ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রায় ৫ শতাধিক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। খেয়ার অভাবে যথা সময়ে করা সম্ভব হয়ে উঠে না অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মৃত্যু ঝুকি নিতে হয় অনেক জরুরী রোগীকেই। এমতাবস্তায় বধুনগর গ্রামে ৯ শত মিটার কাঁচা রাস্তা বেড়ি বাধ দিয়ে পাকা করন ও শ্রীনগর পুরান বাজারে শীতল পাটি নদীর উপর সেতু নির্মাণ অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।

এই দূরবস্তা দূরীকরণে জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে বধুনগর ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহের মেম্বার বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বধুনগর গ্রামটি অবহেলিত ভাবে পড়ে আছে। আমি পরিষদের মেম্বার হওয়ার পরে বিভিন্ন কর্মসূচী কাজ ও এলজিএসপি-৩ কাজের বরাদ্দের মাধ্যমে প্রায় ৭ শত মিটার মাটির কাচা রাস্তা তৈরী করেছি। কিন্তু এখন পানির  শ্রোত ও ঢেউয়ের কারনে এগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। কচুরী পনা দিয়ে কোন রকমে রাস্তাটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। রাস্তা গুলো পাকা করণ করা খুব জরুরী। তাই আমি মাননীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি যে আমাদের বধূনগর গ্রামের রাস্তাটি বেড়ি বাঁধসহ পাকা করণ ও শ্রীনগরের পুরান বাজার খেয়া ঘাট থেকে নাছির উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত শীতল
পাটি নদীর উপর সেতুটি যেন দ্রুত নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

এবিষয়ে শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সার্জেন্ট আবু তারে বলেন, বর্তমান সরকার আওয়ামীলীগের সরকার, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। শ্রীনগরের প্রতিটি গ্রামের সাথে পাকা রাস্তার সংযোগ প্রায় শেষ পর্যায়ে
রয়েছে। একমাত্র বধূনগর গ্রামের রাস্তা ও সেতুটি টেন্ডারের জন্য প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে। ইসলামপুর ও বধূনগরে প্রায় ৯ শত মিটার কাচা রাস্তা করা হয়েছে। কিন্ত এই রাস্তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। যদি বেড়ি বাঁধ না করে
দেওয়া হয় তাহলে উজানের পানি এসে এই বাঁধ ভেঙ্গে ফেলবে। তাই রাস্তাটি বেড়ি বাঁধসহ পাকা করণ ও শ্রীনগর পুরান বাজার থেকে নাসিরউদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত শীতল পাটি নদীর উপর সেতুটি যেন দ্রুত করে দেওয়া হয় সেজন্য মাননীয় সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।

বিষয়টি নিয়ে ভৈরব উপজেলা প্রকৌশলী জনাব আবু ইউসুফ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান গত ৭মে ২০১৯ইং তারিখে বধুনগরের ১কিলোমিটার রাস্তার (বেড়ি বাঁধসহ) জন্য মাননীয় সাংসদ নাজমুল হাসান পাপন মহোদয়ের নিকট থেকে ডিউ লেটারের মাধ্যমে আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পের অধীনে পাঠানো হয়েছিল এবং তা পাস হয়ে এসেছে। এখন শুধু টেন্ডারের বাকি। তাছাড়া  শীতল পাটি নদীর উপর  ৯০ মিটার সেতুটির প্রাথমিক তথ্য গুলো গত ৪ আগস্ট ২০১৯ ইং তারিখে এলজিডি হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে।

error: Content is protected !!