হোম » প্রধান সংবাদ » আমতলীতে আগুনে দুটি দোকান পুড়ে ছাই! 

আমতলীতে আগুনে দুটি দোকান পুড়ে ছাই! 

বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী বাজারে প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে শহীদুল ইসলাম জোমাদ্দার ও হাবিবুর রহমানের দুটি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দোকান  মালিক মোঃ শহিদুল ইসলাম জোমাদ্দারের অভিযোগ পুর্ব শত্রুতার জের ধরে খোকন হাওলাদার ও তার লোকজন দোকানে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমতলী থানায় ওসি শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনা ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অন্তত ৩০ লক্ষ টাকা বলে জানান দোকান মালিকরা।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের শহীদুল ইসলাম জোমাদ্দার গত ৩০ বছর ধরে গুলিশাখালী বাজারে মুদি মনোহরদি ও মাছের ব্যবসা করে আসছিল। ভালোই চলছিল তার দিনকাল।  সোমবার রাত ১০ টার দিকে তিনি দোকান ঘর বন্ধ করে বাড়ীতে যান। ওইদিন গভীর রাতে পুর্ব শত্রুকার জের ধরে খোকন হাওলাদার ও তার লোকজন পেট্রোল দিয়ে শহীদুল ইসলাম জোমাদ্দারের মুদি-মনোহরদি দোকানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে এমন অভিযোগ শহীদুল ইসলাম জোমাদ্দারের। এতে শহীদুল ইসলাম জোমাদ্দার ও পাশে হাবিবুর রহমানের মুদি মনোহরদি ও মাছের খাবারের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বাজারের লোকজন টের পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন দেয়ায় আগুন চারি দিকে ছড়িয়ে পরেছে জানান স্থানীয়রা। আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি। পরে আমতলী দমকল বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে দুটি দোকান ও দোকানের সমুদয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ওই দুটি দোকানের অন্তত ত্রিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান দোকান মালিক শহীদুল ইসলাম জোমাদ্দার ও হাবিবুর রহমান। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে আমতলী থানা ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, আগুনে দুটি দোকান ও দোকানের সমুদয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।  প্রত্যক্ষদশর্ী কয়েকজন বলেন, গভীর রাতে ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে বাহিরে বের হই। পরে দেখতে পাই শহীদুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান জোমাদ্দারের দুটি দোকানে আগুন জ্বলছে। দমকল বাহিনীর সহযোগীতায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। কিন্তু ততক্ষনে দোকান ও দোকানের সমুদয় মালামাল পুড়ে গেছে। তারা আরে বলেন, কিভাবে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তা আমরা জানিনা।
দোকান মালিক মোঃ শহীদুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য সন্ত্রাসী খোকন হাওলাদারের নেতৃত্বে বাবুল, সামসু, স্বপন, নুরু ও লোকমান আমার ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। কিছু দিন পূর্বে তারা আমাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। তিনি আরো বলেন, আগুন দিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা আমার সামনে পড়েছে। আমাকে দেখে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।  আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে খোকন হাওলাদারের মুঠোফোনে (০১৭৫৭০৩৪৬৫৭) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।  আমতলী দমকল বাহিনীর ষ্টেশন ম্যানেজার মোঃ তামিম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
error: Content is protected !!