উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ অসুস্থ মৃতপ্রায় গরু জবাইয়ের সময় উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অপরাধী চক্রের কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত নছিমন চালক আবু হাশেম। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার গভীর রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সলপ রেলওয়ে স্টেশন বাজারের পাশে। টহলরত পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মূল দুই কসাই ও তার এক সহযোগী পালিয়ে যায়। পুলিশ গরুটি আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃত আবু হাশেমকে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোশারফ হোসেন জানান, ঘটনার সময় তিনি পঞ্চক্রোশী এলাকায় আসামী ধরতে যাওয়ার সময় উক্ত স্থানে রাস্তার পাশে গরুটি জবাই করার প্রস্তুতি লক্ষ করেন। এসময় তিনি তার পুলিশ বাহিনী নিয়ে গাড়ি থেকে নামতে নামতেই মূল হোতারা পালিয়ে যায়। তবে ধরা পড়ে গরু বহনকারী নছিমন চালক আবু হাশেম। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বেতকান্দি গ্রামের কসাই সানোয়ার হোসেন ও সাইদুল ইসলাম এবং তাদের সহযোগী মাটিকোড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন। গরুটি জবাই করে এর মাংস সোমবার সকালে উল্লাপাড়ার সলপ রেলওয়ে স্টেশন বাজারে কসাইদের বিক্রির কথা ছিল। গরুটি ছিল খুবই অসুস্থ এবং এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছিল। বিষয়টি উল্লাপাড়া প্রাণি সম্পদ কর্মকতার্কে রাতেই অবহিত করা হয়। তবে কসাই ও তাদের সহযোগীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোর্শেদ উদ্দিন আহমেদ জানান, ঘটনাস্থলে পাঠানো প্রাণি চিকিৎসকদের মাধ্যমে জানা গেছে কথিত গরুটি প্রাণঘাতি লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) রোগে ভুগছিল। এই গরুর মাংস মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ।
এ ব্যাপারে পঞ্চক্রোশী ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, কথিত কসাই সানোয়ার হোসেন ও সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও এই ধরনের অপকর্মের বহু অভিযোগ রয়েছে। গোপনে অসুস্থ অনেক গরু জবাই করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আসছেন এরা। এদের ধরে দ্রুত আইনের অধীনে আনার দাবি জানান চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন
সাতক্ষীরায় সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী রুহুল হক ও সাবেক এসপিসহ ১৪১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৩ টি হত্যা মামলা
সেন্টমার্টিন নৌ-পথে ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি
নওগাঁয় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু