হোম » প্রধান সংবাদ » জয়দেবপুরে ফল কিনতে গিয়ে অপহৃত হল দুই শিশু, উদ্ধার করল পুলিশ

জয়দেবপুরে ফল কিনতে গিয়ে অপহৃত হল দুই শিশু, উদ্ধার করল পুলিশ

রবিউল করিম,   গাজীপুর: ‘তোর ছেলে পারভেজ ও তার বন্ধু অভি আমাদের কাছে আছে, তাদের পাইতে হইলে ১ লক্ষ টাকা দিবি তা না হলে তোর ছেলে ও তার বন্ধুকে মেরে ফেলব!’ মোবাইল ফোনে অপহরণকারীদের এমন হুমকিতে দিশেহারা বাবা মজিবুর রহমান বাদল। এমন খবর পাওয়া মাত্রই মজিবুরের পাশে দাঁড়ালো সদর থানা পুলিশ। ওসি আলমগীর ভূইয়ার দিক নির্দেশনায় প্রযুক্তিগত সহায়তায় অপহরণকারীদের অবস্থান পর্যালোচনা করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অক্ষত অবস্থায় ভিকটিম পারভেজ ও তার বন্ধু অভিকে উদ্ধার এবং অপহরনকারী সিন্ডিকেটের প্রধান সদস্যকে আটক করে সদর থানা পুলিশ।

ঘটনা পর্যালোচনায় জানা যায়, সদর থানাধীন পশ্চিম বিলাসপুরের বাসিন্দা মজিবুর রহমান বাদলের ছেলে রিয়াদ হাসান পারভেজ(১২) ও প্রতিবেশি মোসলেম উদ্দিনের ছেলে হাসিবুল হাসান খান অভি(১০) একই শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সুবাদে দুজনে ভালো বন্ধু। ৩০ জুন মঙ্গলবার বেলা ১১:৩০ টার দিকে দুই বন্ধু মিলে ডেউয়া ফল কেনার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে জয়দেবপুর বাজারের স্বর্ণপট্টি মোড়ে ফলের দোকোনে আসে, সেখান থেকেই কৌশলে অপহরণকারীরা পারভেজ ও তার বন্ধু অভিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের এক পর্যায় স্থানীয়দের সহায়তায় নগরীর শ্মশান কালা সিকদার ঘাট(হেমন্ত পল্লী) থেকে  ভিকটিমদের উদ্ধারকালে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী গাজীপুর নগরীর সদর থানাধীন সালনা পলাশ টেকস্থ আব্দুল নবী বিধানের ছেলে মোঃ মিল্টন মাসুদকে(৩৫) আটক করতে পারলেও অপর দুই আসামী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে মিল্টন মাসুদকে জিজ্ঞাসিত তথ্য অনুযায়ী একই গ্রামের অপহরণ সিন্ডিকেরে অন্যতম সদস্য আকাশকেও(২৮) একই দিনে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং অন্য সদস্য রাসেল(১৯) রয়েছে এখনও পলাতক। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা মজিবুর রহমান বাদল বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অপহরণকারী এই একই সিন্ডিকেট গত ৬জুন শনিবার সদর থানাধীন পশ্চিম জয়দেবপুরে একটি শিশু অপহরণ করে ১০,০০০ টাকা মুক্তিপণ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে; সে ঘটনায়ও সিন্ডিকেটের তিন সদস্যর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সদর থানায়।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া জানান, ‘অপহরণকারী স্বীকার করেছেন তারা প্রায় ১ বছর যাবৎ এই অপকর্মের সাথে জড়িত, তবে এবারের ঘটনায় সদর থানা পুলিশের তৎপরতায় আইনের হাতে ধরা পড়েছে। আমরা এধরনের অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।’

error: Content is protected !!