হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জে ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

সিরাজগঞ্জে ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি হয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পানিবন্দি মানুষ বিভিন্ন বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে। সেই সাথে কৃষকেরা গবাদী পশু নিয়ে পড়েছে বিপাকে। গবাদীপশু নিয়ে রাত কাটাচ্ছে এক সাথে। এসব স্থানে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে, ভেঙ্গে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা।

ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ক্রমশ বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। এছাড়াও জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ইতোমধ্যেই ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং চরাঞ্চলের প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল।

কষ্টের বানে ভাসছে পানি বন্দি মানুষ। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে সিরাজগঞ্জে পাঁচটি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নের ২৪৯২৪টি পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও চরাঞ্চলের প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যায় পাঁচটি উপজেলার ৩১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার ২১৬টি গ্রামের ২৪ হাজার ৯২৪টি পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। ২৮০টি ঘরবাড়ি আংশিক, ২২টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ১৬.৫ কিলোমিটার রাস্তা ও বাঁধ এবং প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ১২৫ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার যমুনা নদীর পানি ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৮ এবং কাজিপুর উপজেলায় ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পুর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সিরাজগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে নদীবেষ্টিত সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ২৫২০ হেক্টর জমির পাট ও তিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি না কমলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

Loading

error: Content is protected !!