হোম » প্রধান সংবাদ » সুনামগঞ্জে ২৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ৫৬ জন অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীর মধ্যে অনুদানের চেক প্রদান করলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ

সুনামগঞ্জে ২৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ৫৬ জন অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীর মধ্যে অনুদানের চেক প্রদান করলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ

আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদ,ঐক্য,শিক্ষা,শান্তি,সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার আদর্শ ও মনোভাব নিয়ে জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করার জন্য সকল সংস্কৃতানুরাগীদের প্রতি উদাত্ত আহবাণ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ব্যক্তি ও সংগঠণ পর্যায়ে আর্থিক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে এ জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে। অতীতের চাইতে চলতি বছরে অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

 

ভবিষ্যতেও বরাদ্দের সংখ্যা ও পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করা হবে। সরকার চাচ্ছে সুনামগঞ্জের সংস্কৃতিসেবীদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ঠিকে থাকুক। বুধবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সুনামগঞ্জের ২৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ৫৬ জন অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ এসব কথা বলেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমার সভাপতিত্বে চেক প্রদান অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ আদনান,জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ সাধারন সম্পাদক এডভোকেট দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন,বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আল-হেলাল,উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চন্দ মন্তোষ,লোকদল শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিধান চন্দ্র বণিক বাঁধন, কল্পতরু সঙ্গীত বিদ্যালয়ের পরিচালক বাবু রাজ নারায়ণ, বুলবুল সঙ্গীত নিকেতনের পরিচালক প্রীতিভূষণ চক্রবর্তী, সুন্দরম শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি শুক্লা রায় চৌধুরী, ধানেশ্বরী সঙ্গীত একাডেমির সভাপতি মানিক মোহন চন্দসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবর্গরা ও অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীগন।

 

অনুদান বরাদ্দের ব্যাপারে জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল বলেন, বর্তমান জেলা প্রশাসক ও শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মোঃ আব্দুল আহাদ এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে চলতি বছরে সর্বোচ্চ ২৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ৫৬ জন অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী অনুদান পেয়েছেন।
যথাযময়ে যথানিয়মে আবেদন না করার জন্য যেসব সংগঠণ অনুদান পায়নি সেসব সংগঠনকে ভবিষ্যতে অনুদান প্রদানের জন্য শিল্পকলা একাডেমী প্রচেষ্টা নেবে। তিনি বলেন,সাংস্কৃতিক সংগঠণগুলোকে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সংগঠণ পরিচালনার নিয়ম কৌশল পদ্ধতি অনুসরণের পাশাপাশি একাডেমীর তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী প্রত্যেকটি সাংস্কৃতিক সংগঠণকে সক্রিয় ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে উন্নত করতে চায়।

বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল বলেন,জোট সরকারের আমলে মাত্র ৫ জন সংস্কৃতিসেবী ও ৪/৫টি সংগঠণ অনুদান লাভ করতো। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের আমলে সর্বোচ্চ সংখ্যক অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অনুদান লাভ করে চলেছে। এই কৃতিত্বের দাবীদার বর্তমান জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদ ও জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল এর। তারা কোন ধরনের দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে নয় বাস্তবতা ও মানবিক দৃষ্টিকোন বিচারে এই অনুদান আদায়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। যে কারণে প্রকৃত দৃষ্টি প্রতিবন্দী ছাড়াও অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের পাশাপাশি কার্যকর সংগঠনগুলো অনুদান লাভে সক্ষম হয়েছে।

সারেগামা সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিচালক অনীশ তালুকদার বাপ্পু বলেন,আমরা প্রতিবছর ২/৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আমাদের বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে থাকি। সে তুলনায় প্রাপ্ত অনুদান কিছুই না। কিন্তু সরকার ও শিল্পকলা একাডেমী আমাদেরকে অনুদান দিয়ে কাজের যে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন সেজন্য আমি জেলা প্রশাসক ও কালচারাল অফিসারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। উল্লেখ্য গত বছর সর্বোচ্চ ১৯টি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ৫৫ জন অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এই অনুদান পেয়েছেন।

error: Content is protected !!