হোম » স্বাস্থ্য-লাইফস্টাইল » সোনাইমুড়ীতে বন্ধ হাসপাতাল খুলতে ঘুষ বাণিজ্য অনুমোদনহীন হাসপাতাল-ক্লিনিকের ছড়াছড়ি

সোনাইমুড়ীতে বন্ধ হাসপাতাল খুলতে ঘুষ বাণিজ্য অনুমোদনহীন হাসপাতাল-ক্লিনিকের ছড়াছড়ি

মোহাম্মদ হানিফ (গোলজার হানিফ)  (নোয়াখালী):প্রতিনিধি : নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডেন্টাল চেম্বারের ছড়াছড়ি। হাতেগোনা কয়েকটির লাইসেন্স থাকলেও অধিকাংশ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে অনুমোদন ছাড়াই।
মাঝেমধ্যে অভিযান করে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলেও পরে সিভিল সার্জন অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের অদৃশ্য ইশারায় তা পুনরায় চালু হয়।
সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে নির্ধারিত লাইসেন্স ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়। সিভিল সার্জন তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক লাইসেন্স দেন। কিন্তু অনেকে আবেদন করেই হাসপাতাল চালু করেছেন। আবার কেউ কেউ লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতাল চালিয়ে যাচ্ছেন।
একটি ১০ শয্যা হাসপাতালের জন্য ৩জন এমবি বিএস ডাক্তার, ৬ জন ডিপ্লোমাধারী নার্স, ১ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান, ১ জন এক্স-রে টেকনিশিয়ান, ৪ জন আয়া, ৪ জন বয়, ১ জন গার্ড ও ান্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি থাকার কথা। যেসব হাসপাতালে বেড সংখ্যা বেশি সেখানে ডিপ্লোমাধারী নার্স থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এসবই নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
একটি হাসপাতাল পরিচালনা করতে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়ারসার্ভিস সনদ, মাদক সনদ, পৌরসভা অনাপত্তি পত্র, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, টিন ও ভ্যাট সনদ থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ হাসপাতালে নেই এসব কাগজপত্র।
পৌর এলাকার নূরানী হাসপাতাল, জমিলা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনে সফি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনেসিনা প্যাথলজি, এস আলম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আলিফ প্যাথলজি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেই চালিয়ে যাচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান।
বিগত জুন মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসমাইল হোসেন, ইউএইচও ইসরাত জাহান ডাক্তার না থাকায়, অপারেশন থিয়েটার অপরিস্কার থাকায়, সোনাইমুড়ী জেনারেল হাসপাতাল, আল খিদমাহ জরুরী ও নরমাল ডেলিভারী হাসপাতালে অপমৃত্যু জনিত কারনে, পপুলার হাসপাতাল ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায়, আলিফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদন না থাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বন্ধ করে দেয়। সপ্তাহ না যেতেই নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের লোক এসে তা চালু করে দিয়ে যায়।
সোনাইমুড়ীর পপুলার হাসপাতালের পরিচালক মামুন জানান, নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে দানবের মত এসে টাকা নিয়ে যায়। একেকটি হাসপাতাল খুলতে ওই অফিসে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি বন্ধ হাসপাতাল চালু করতে কোন লেনদেন করেন না।
সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইসরাত জাহান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কাগজপত্র ও লোকবল না থাকায় অভিযান পরিচালনা করে হাসপাতাল বন্ধ করা হয়।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার বলেন, বন্ধ হাসপাতাল খুলতে তার অফিসের লোকজন কোন টাকা নেয়না। সুনিদ্রিষ্ট অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
error: Content is protected !!