হোম » বিনোদন » কক্সবাজারে ৭ দিনব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল শুরু : লাখো পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা

কক্সবাজারে ৭ দিনব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল শুরু : লাখো পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা

মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী : পর্যটনের নতুন ভাবনা এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে ৭ দিন ব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল উদ্বোধন করা হয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল সাড়ে দশটায় কক্সবাজার লাবনী পয়েন্ট থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব পর্যটন দিবস ও ৭ দিন ব্যাপী পর্যটন মেলা উদ্বোধন করেন৷
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে র‌্যালিতে জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন ট্যুরিস্ট পুলিশ হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ, পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন অংশ নেন। পরে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে পর্যটনের নতুন ভাবনা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাফর আলম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজারের পৌর সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সুফিয়ানসহ অনেকে। ৭ দিন ব্যাপী এই বিচ কার্নিভালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাখাইনদের নৃত্য অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রশাসন বলছে, উৎসবে ভিন্নতা আনতে আয়োজনে আনা হচ্ছে নতুন মাত্রা। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন স্পট। যা সাজানো হয়েছে রঙ্গিন ছাতায়। একই সঙ্গে সৈকতের বালুকাবেলায় তৈরি হচ্ছে বালু ভাস্কর্য।
ভাস্কর্য শিল্পী শেখ রাসেল বলেন, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দুটি বালু ভাস্কর্য নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। একটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অপরটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, সাত দিনব্যাপী এই পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালে কক্সবাজারসহ দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। বিশ্ববাসীর সামনে কক্সবাজারকে উপস্থাপন করতেই এ মেলার আয়োজন। আশা করি এ আয়োজনে উৎসবের নগরীতে পরিণত হবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
এদিকে প্রতিদিন বিকাল ৩টায় বিনামূল্যে চলবে সার্কাস প্রদর্শনী, বিকেল সাড়ে ৪টায় বিচ বাইক র‌্যালি , সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এরপর ডিজে শো এবং আতশবাজি প্রদর্শনী।
২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রোড শো, বিকেল সাড়ে ৪টায় জেটস্কি শো ও সেমিনার। ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় ঘুড়ি উৎসব, বিকেল সাড়ে ৪টায় সেমিনার, সাড়ে ৫টায় ম্যাজিক শো, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ফায়ার স্পিন, সন্ধ্যা ৭টায় লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাত ৯টায় ফানুস উৎসব, রাত ১১টায় ডিজে শো।
৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় সার্ফিং প্রদর্শনী, বিকেল ৩টায় ঘুড়ি উৎসব, বিকাল ৪টায় বিচ ম্যারাথন, বিকেল ৫টায় সেমিনার, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ডিজে শো। ১ অক্টোবর বিকেল ৫টা সেমিনার ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২ অক্টোবর বিকেল ৪টায় বিচ ভলিবল, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাত ৮টায় বিদেশি নাগরিকদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১১টায় ডিজে শো।
৩ অক্টোবর বিকেল ৩টায় সেমিনার, বিকেল ৪টায় পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান, বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত গ্র্যান্ড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্ট, রাত সাড়ে ১১টায় ডিজে শো ও রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে আতশবাজি উৎসব।
error: Content is protected !!