হোম » অর্থনীতি » ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের

ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের

আওয়াজ অনলাইন : গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনার করে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।

সেই সাথে নিহত ও আহত শ্রমিকদের যথাযথ ন্যায়বিচার, দোষীদের শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকের পুর্নবাসন ও সুচিকিৎসার দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে এসব দাবিতে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি নাজমা আক্তারের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয় ।

গত মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেন।

একই দিন বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত  আলোচনা শুরু হয়। সেখানে মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সম্মতিতে এই মজুরি নির্ধারণ করা হয়।

সভায় শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকার প্রস্তাব করেন। অপরদিকে মজুরি বোর্ডে পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। উভয়পক্ষ প্রস্তাবনায় তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে।

ওই দিন শ্রমিক নেতা ও মালিকদের আহ্বান জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, আপনারা ফ্যাক্টরি খুলে দেবেন, শ্রমিক ভাইদের বলব কাজে যোগদান করতে। আমি আবেদন করবো, মালিকদের সহনশীল ভূমিকা রাখার জন্য। কারণ এই আন্দোলনে ভুল করুক, ত্রুটি করুক, যেটিই করুক পেটের দায়েই তো মানুষ অনেক কিছু করে। তাদের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, তারা যেন কাজে সঠিকভাবে যোগ দিতে পারে। শ্রমিক ভাই-বোনদের বলব, শিল্পই আপনার জীবন। এই শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। আগে ক্ষতিগ্রস্ত আপনি হবেন, মালিক কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরে। সুতরাং সেদিকে লক্ষ্য রেখে শান্তিপূর্ণভাবে যার যার কাজে গিয়ে ফ্যাক্টরিকে কর্মচঞ্চল করে তুলবেন।

তিনি বলেন, অর্থনীতির চাকা হলো আপনাদের কাছে। সেই চাকা যেন বন্ধ না হয়। আপনারা কর্মে যোগ দিয়ে শিল্প- কারখানায় শান্তি আনবেন, দেশের উন্নতিতে আপনাদের অবদান, বড় ভাগীদার আপনারা- এটা মাথায় রেখে কারও দিকে কোনো প্রকার উসকানিমূলক কথায় না গিয়ে আপনারা বিপথে না হাঁটেন, এটা আমাদের আবেদন। শিল্প অঞ্চলে যারা অবস্থান করেন সেসব অঞ্চলের মালিকদের আমি বলব, পারলে কিছু বাড়িভাড়া যেন মালিকরা মওকুফ করেন সে ব্যবস্থা করবেন।

এদিকে ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করার খবর ছড়িয়ে পড়লে গাজীপুরে আন্দোলন শুরু করেন পোশাকশ্রমিকরা। পরে তা আশুলিয়া, সাভার ও ঢাকার মিরপুরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক জায়গায় শ্রমিকরা ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যায়ক্রমে পাঁচ শতাধিক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

error: Content is protected !!