হোম » অর্থনীতি » পাট ও পাটজাত দ্রব্যের রপ্তানি কমেছে ১৮ শতাংশ

পাট ও পাটজাত দ্রব্যের রপ্তানি কমেছে ১৮ শতাংশ

আওয়াজ অনলাইন: অন্যান্য পণ্য রপ্তানি বাড়লেও পাটের রপ্তানি কমেছে ১৮ শতাংশ। দেশের ভিতরে উৎপাদিত অনেক পণ্য বিদেশে উচ্চমূল্যে রপ্তানি হলেও পাটের রপ্তানি দিন দিন কমেছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি হয় ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারের। পণ্যটি বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করায় আশাবাদী হয়ে উঠেছিলন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের চিত্র হতাশ করেছে তাদের। এ সময় রপ্তানি হয়েছে ৪৮৫ মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, পাট ও পাটপণ্যের প্রধান গন্তব্য তুরস্ক, চীন এবং ভারতে চাহিদা কমেছে।  নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পাটপণ্য রপ্তানিতে।

বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, “আমাদের সিংহভাগ কার্পেটিং খাতে, সেই জায়গাটায় গত কয়েক বছরে পাটের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই মার্কেটে অ্যাফেক্ট পড়েছে। এর বিকল্প বের করার চেষ্টা চলছে, ইতিমধ্যে কিছুটা সফলতাও এসেছে।”

এদিকে, পাটপণ্যের ওপর ভারত সরকার এন্টিডাম্পিংয়ের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়িয়েছে। বাড়ানো হয়েছে শুল্কও। যা বাংলাদেশের পাট খাতের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে দেখছেন রপ্তানিকারকরা।

মোঃ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, “ এন্টিডাম্পিংয়ের জন্য ইন্ডিয়ার মার্কেটটা অনেকাংশে হারিয়েছি। আরও ৫ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে যেটা আমাদের জন্য খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত। আমরা ভেবেছিলাম এবং সরকারও খুব আশাবাদী ছিল যে, ইন্ডিয়ান সরকার এবছর এটা আর বৃদ্ধি করবে না। দেখা গেলো যে তারা ৫ বাড়িয়েছে।”

এদিকে, সম্প্রতি পাটকে কৃষিপণ্য ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে চাষী থেকে শুরু করে মিল মালিক সবাই বাড়তি সুবিধা পাবে। তাই কিছু হতাশার মাঝেও নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নও দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

error: Content is protected !!