করোনাকালীন সময়ের মধ্যে শতাধিক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করলো বেসরকারি এবি ব্যাংক লিমিটেড। রোববার (১২ জুলাই) এটি কার্যকর করা হবে। ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের তালিকা করে এক অফিস নির্দেশনা জারি করে এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যা ১২ জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে। চাকরিচ্যুত হওয়া কর্মীদের উদ্দেশে অফিস নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সব বকেয়া এবং পাওনা পরিশোধ করা হবে। এবি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী তাদের তিন মাসের মূল বেতন প্রদান করা হবে। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিলে তার জন্য তিনি নিজেই দায়ী থাকবেন।
করোনাকালীন সংকটে ব্যাংকটি আর অতিরিক্ত খরচ বহন করতে পারছে না। তাই ভবিষ্যতে ব্যাংকটি টিকিয়ে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেননি এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল কিংবা অন্য কোনো উর্দ্ধতন কর্মকর্তা।
সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার প্রায় ১২১ জন কর্মকর্তাকে ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়ে একটি তালিকা করা হয়। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের ১২ জুলাই থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ব্যাংকের নিজস্ব নিয়মে তাদের পাওনা ও তিন মাসের মূল বেতন পরিশোধ করা হবে।
আরব বাংলাদেশ ব্যাংক (এবি) বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে ১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তির পর ব্যাংকটির নাম বদলে হয়েছে এবি ব্যাংক। দেশে ও দেশের বাইরে সবমিলিয়ে ১০৫টি শাখা রয়েছে ব্যাংকটির। রয়েছে ৩০০টির বেশি এটিএম বুথ ও ৫টি সহযোগী কোম্পানি। এর মধ্যে অফশোর ব্যাংকিং সেবার জন্য রয়েছে আলাদা ইউনিট। ব্যাংকের সব ধরনের সেবা পণ্য রয়েছে এবি ব্যাংকের। বয়স, শ্রেণি ও পেশা বিবেচনায় রয়েছে আলাদা আলাদা ব্যাংকিং পণ্য। সরাসরি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই ব্যাংকটি। বর্তমানে এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ২০০।
আরও পড়ুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী উন্নয়নের লিফলেট বিতরণ করছেন তজুমদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগ।
টাংগাইল নাগরপুরে মহাসড়ক বাইপাসের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি
শেরপুরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ