হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » বগুড়ায় র‌্যাবের অভিযানে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস নাজমুল হত্যা মামলার আসামী রকি গ্রেফতার

বগুড়ায় র‌্যাবের অভিযানে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস নাজমুল হত্যা মামলার আসামী রকি গ্রেফতার

রায়হানুল ইসলাম, বগুড়া : বগুড়ায় র‌্যাবের অভিযানে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস নাজমুল হত্যা মামলার আসামী রকিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র‌্যাব-১২, বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার, মীর মনির হোসেন এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে গত ২২ অক্টোবর বগুড়ার গাবতলীর দূর্গাহাটা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা মধ্যপাড়া গ্রামে নিজ বসতবাড়ীর ৩০০ মিটার দূরে ধানক্ষেত থেকে ভিকটিম নাজমুল (৩৫) কে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।
এঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, প্রায় ১ বছর পূর্বে তার ফুফাত ভাই সোহেলের মেয়েকে ধর্ষণ সংক্রান্তে সদর থানায় ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় তার স্বামী ভিকটিম নাজমুল বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ মামলার বাদী সোহেলকে সিএনজি করে কোর্টে আনা নেওয়া করত।
ধর্ষণ মামলার আসামী উজ্জল রকিসহ তার স্বামী ভিকটিম নাজমুলকে উক্ত মামলাটি আপোষ-মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। তার স্বামী ভিকটিম নাজমুল তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তারা খুন ও জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। তাদের হুমকিতে তার স্বামী ভিকটিম নাজমুল প্রায় ৩ মাস পূর্ব হতে সিএনজি চালানো বাদ দেয় এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে।
তার স্বামী ভিকটিম প্রায় সময়ই ভীত হয়ে বলত “ উজ্জল ও রকি লোকজন দিয়ে তাকে মেরে ফেলবে। তুমি আমার ছেলে-মেয়েকে দেখে রেখ।” ভিকটিমকে গুম করার উদ্দেশ্যেই এই নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডটি সংঘঠিত হয় যা বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোড়ন তৈরি করে।
ঘটনার পরপরই র‌্যাব-১২ বগুড়া হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সহিত সার্বক্ষনিক সমন্বয় করতঃ ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫ অক্টোবর রাত্রি ১টার দিকে র‌্যাব সদর দপ্তরের সহযোগিতায় উক্ত এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এজাহারের গর্ভে লিখিত ও তদন্তে প্রাপ্ত ধৃত আসামী মোঃ রকি(৩৪), পিতা-মোঃ হারুন, সাং-হাতিবান্ধা, থানা-গাবতলী, জেলা-বগুড়াকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ব্যক্তিকে বগুড়া জেলার গাবতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
error: Content is protected !!