হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » নলডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলীমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের : এলাকাবাসীর ক্ষোভ

নলডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলীমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের : এলাকাবাসীর ক্ষোভ

মোঃ রাসেল শেখ, নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে যড়যন্তমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ক্ষোভে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী।
গত ১৮ অক্টোবর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের যুবক বিমল কুমার দাস বাদী হয়ে নাটোর অমলী আদালতে ভাইস চেয়ারম্যান আলীমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যড়যন্তমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নাটোর পিবিআই কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,নলডাঙ্গা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে অবস্থিত সরকারী খাস চারটি পুকুর সরকারী ডাকের মাধ্যমে তিন বছরের জন্য ইজারা পেয়ে মাছ চাষ করছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমের ভাই আব্দুল হাকিম ও তার ফুফাতো ভাই আখরুজ্জামান রেন্টু।এ চারটি খাস পুকুর তাদের বিত্তহীন সমিতির নামে ৫০ বছরের জন্য ইজারা পায় বলে দাবী করেন এ মামলার বাদী বিমল কুমার দাস।
এ পুকুর ইজারা নেওয়া কে কেন্দ্র করে  গত ১৮ অক্টোবর আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা করেন বলে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী দাবী করেন।আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেন,গত ১৬ অক্টোরবর বিকাল ৪ টার দিকে নলডাঙ্গা বাজারে যাওয়ার পথে মামলার বাদী বিমল কুমার দাসকে পথরোধ করে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন ও বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ১০ হাজার টাকা আদায় করেন এবং ভয়ভীতি দেখান।
স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী দাবী করেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জনপ্রিয় ভালো মানুষ।তার জনপ্রিয়তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এক ধরনের কুচুক্রী মহল এ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।সেই দিন এ এলাকায় এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।এলাকাবাসী আরো জানান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রশাসনের সুদৃষ্টির দাবী করেন।
এ মামলার বাদী বিমল কুমার দাস বলেন, শেখপাড়া গ্রামে অবস্থিত সরকারী এ চারটি খাস পুকুরে ২০ কেজি মাছের পোনা ছেড়েছি।এ পুকুরগুলো বর্তমানে আমার দখলে আছে।এ পুকুর দখল করার জন্য গত ১৬ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে আমি বাজারে সার কিনতে যাওয়ার পথে শেখপাড়া সড়কে আমার পথরোধ করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম বলেন,আমার বিরুদ্ধে সম্পন্ন যড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার জনপ্রিয়তা ও সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এ মামলা দিয়ে ফাঁসানের চেষ্টা করছে একটি মহল।মামলায় ১৬ অক্টোবর বিকাল ৪ টার সময় যে ঘটনা উল্লেখ করেছে সেই আমি সময় আমি ব্রহ্মপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এমপিকাপ প্রাইজমানি ফুটবল টুনামেন্ট খেলার সভাপতি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম।
সেই খেলা দেখতে হাজারো মানুষসহ নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।সেই খেলা চলাকালিন সময় ফেসবুকে লাইভ চালু ছিল সেই প্রমান আছে।এই মামলা সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট ও যড়যন্তমুলকভাবে দায়ের করা এ মামলার সঠিকভাবে তদন্ত করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।আর সরকারী চারটি খাস পুকুরের মধ্যে একটি আমার ভাইয়ের নামে সরকারী ডাকের মাধ্যমে ৩ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছে।বাকি তিনটি পুকুর আমার ফুফাতো ভাই আখরুজ্জামান রেন্টু সরকারী ডাকের মাধ্যমে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছে।
উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার রাকিবুল হাসান বলেন,উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে অবস্থিত চারটি খাস পুকুর সরকারী ডাকের মাধ্যমে তিনটি আখরুজ্জামান রেন্টু নামে ও একটি পুকুর হলুদঘর গ্রামের আব্দুল হাকিমের নামে ইজারা দেওয়া হয়।এ চারটি পুকুর ৫০ বছরের জন্য ইজারা পেয়েছে বলে যে দাবী করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তবে ৫০ বছরের জন্য সরকারী খাস পুকুর ইজারা দেওয়ার কোন আইন নাই।
error: Content is protected !!