হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » ভবানীপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে ভূয়া প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

ভবানীপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে ভূয়া প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে ভবানীপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম সরেজমিনের সঠিক প্রতিবেদন দিতে অর্ধ লক্ষ টাকা ঘুষ চায়।

ঘুষ না পেয়ে ভূয়া প্রতিবেদন দাখিল করায় তার বিরুদ্ধে দুদক, জেলা প্রশাকক ও ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তোভোগী জিহাদ আলী সরকার।

গত বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর বালেন্দা গ্রামের মৃত ওমর আলী সরকারের ছেলে জিহাদ আলী এ অভিযোগ করে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা মৌজার মৃত- ওমর আলীর ছেলে জিহাদ আলী বিগত ০২/০২/১৯৮২ সালে ১২০২নং রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে ৮৩.৫০ শতাংশ সম্পত্তি চাঁন মাহমুদ সরকার ও মোছাঃ আজবাহাতুন বেওয়ার নিকট থেকে ২৭/০২/১৯৮৬ সালে ২৪৮০নং রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল মূলে ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে স্বাত্ববান ও দখলভোগে বিদ্যমান থাকে।

কিন্তু আরএস রেকর্ড ওমর আলীর নামে না হয়ে মা আমেনা বিবির নামে অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে আমেনা বিবি উক্ত জমি তার অপর দুই ছেলের নামে লিখে দিলে ভুক্তভোগী জিহাদ আলী বিরোধ নিস্পত্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। যার নম্বর ১৪৬পি/২০২৩ (শেরপুর)।

এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত শেরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমির নিকট তদন্ত প্রতিবেদন চাইলে ভবানীপুর ইউনিয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম ০৩/০৭/২০২৩ তারিখে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। যার স্মারক নং-ভ: ই: ভূ: অ:/শেরপুর বগুড়া-২০২৩-৫৮।

সেখানে তিনি উল্লেখ করেন বাদির পিতা মোঃ ওমর আলী উক্ত সম্পত্তি চান মাহমুদ সরকারের নিকট থেকে ক্রয় করিলেও ওমর আলী বা তার পুত্রদের নামে কোন আর এস রেকর্ড প্রস্তুত হয় নাই।

সরেজমিনে তদন্তকালে দেখা যায় আর,এস রেকর্ডের মালিক আমেনা বিবির নিকট হতে বিবাদী উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করে বাড়ী ঘর নির্মাণ করে উক্ত সম্পত্তি দখল ভোগ করিতেছে।

তদন্তের সময় সরেজমিনে উপস্থিত লোকজনদের নিকট থেকে আরো জানা যায় উক্ত সম্পত্তিতে বাদীর কোন দখল নাই। সম্পূর্ণ সম্পত্তি বিবাদী আবু বকর
দিং উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে। তার এই তদন্ত প্রতিবেদন বাদি বিজ্ঞ আদালতে না রাজির আবেদন করলে, বিজ্ঞ আদালত পুনারয় শেরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি’র নিকট পুনরায় তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি ভার অর্পন করে।

পরবর্তীতে ২৫/০৯/২০২৩ তারিখে সহকারি কমিশনার ভূমি একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন সেখানে ভবানীপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলমের প্রতিবেদন মিথ্যা প্রমানিত হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী জিহাদ আলী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির আগে ভবানীপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম তার কাছে থেকে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। সেই টাকা না দেয়াতে তিনি উদ্দেশ্য মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে। এবং আমার মামলা প্রভাবিত ও ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করেছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

তিনি আরোও জানান, ভূমি অফিসে মহুরীর কাজ করে পরিচয়দানকারী আক্কাস কিভাবে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করতে যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভবানীপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম জানান, আমি কোন ঘুষ খাইনা। তবে আমার ওখানে যারা কম্পিউটারের কাজ করে বাদশা ও নাঈম টাকা নেয়। আমি লোকজনের কাছ থেকে শুনে প্রতিবেদন দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

error: Content is protected !!