হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » বাঘার রুস্তমপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর আঘাতে আহত গৃহবধূ

বাঘার রুস্তমপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর আঘাতে আহত গৃহবধূ

আবুল হাশেম, রাজশাহী ব‍্যুরো : রাজশাহীর বাঘার রুস্তমপুরে প্রতিবেশীর করা আঘাতে এক গৃহবধূর আহতের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টার সময় আড়ানী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের পূর্ব ভারতিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিখা বেগম নামের আহত ওই গৃহবধু পূর্ব ভারতিপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী বলে জানা যায় । এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিখা বেগম বাদী হয়ে ৪ জন কে সাক্ষী করে জেলা রাজশাহীর বিজ্ঞ বাঘা থানা আমলী আদালতে দন্ড বিধির ১৪১/ ১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩৭৯/ ৩৫৪/ ৩০৭/ ৫০৬ (২)/ ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-মামলা নং-৬২০ সি/২০২৩ (বাঘা)।
এ ঘটনায় একই এলাকার মৃত আবু সরদারের ছেলে আন্টু (৬০), আন্টু’র ছেলে বুলুবুল ও আলমগীর, বুলবুলের স্ত্রী শিলা বেগম এবং আন্টুর স্ত্রী রোকেয়া সহ মোট ৫ জন কে আসামী করে আদালতে এজাহার দাখিল করা হয়।

জানা যায়, শিখা বেগমের ৩ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে এর মধ্যে ছোট মেয়ে সুমাইয়া (৭)।সুমাইয়া একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তাদের প্রতিবেশী আন্টুর ছেলে বুলবুলের মেয়ে ফারজানার সাথে খেলাধুলা করে। সে দিন ফারজানার ব্যাবহৃত স্যান্ডেল খুঁজে না পেয়ে সুমাইয়া নিয়েছে ভেবে আন্টু ও তার ছেলে বুলবুল মিলে সুমাইয়া কে টেনে হিচড়ে জোরপূর্বক বাড়ির ভেতর নিয়ে যাচ্ছিল।

এমন সময় শিখা বেগম দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করলে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে আন্টু ও তার স্ত্রী এবং ২ ছেলে ও ছেলের বৌ মিলে শিখার মাথার চুল ধরে বিবস্ত্র করে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় তার গলায় থাকা ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেন কেড়ে নেয়।
বাড়াবাড়ি করলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আন্টু ও তার লোকজন। শিখার আত্নচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসা করে। আন্টু ও তার লোকজনের যৌথ মারধরে শিখা বেগমের উভয় ঠোটে গুরুত্বর ফুলা জখম ও উপর ঠোটে ৪টি সেলাই সহ সামনের দুই দাঁত নড়ে যায়।

নাম প্রোকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি জানান, আন্টু নামের অর্থলোভী এই ব্যাক্তি একজন সুদে কারবারি। সুদের এই অবৈধ টাকার গরমে তিনি মানুষকে মানুষ মনে করেন না। ছোট খাটো যে কোন বিষয়ে মানুষের সাথে দন্দ ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে। তার এমন আচরণে এলাকার মানুষ অতিষ্ট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্টু বলেন, আমি তাকে মারিনি অতিরিক্ত রাগের বশে একটা ধাক্কা দিয়েছি। এ ধাক্কায় টিনের সাথে লেগে রেজাউলের স্ত্রী শিখার ঠোঁট কেটে গেছে।

শিখা বেগমের স্বামী রেজাউল করিম জানান, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না, একা পেয়ে আমার স্ত্রী কে আন্টু ও তার পরিবারের লোকজন প্রচন্ড মেরেছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীর মুখের ভেতরে ৪ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আড়ানী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন লিটন  বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি লোক মুখে শুনেছি। তবে উভয় পক্ষের কেউ এখনও আমাকে জানায়নি।

error: Content is protected !!