হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিনা নোটিশে দোকান ঘর উচ্ছেদ জনমনে ক্ষোভ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিনা নোটিশে দোকান ঘর উচ্ছেদ জনমনে ক্ষোভ

মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: শেরপুরের শ্রীবরদি উপজেলার ঝগড়ার বাজারের কোন অবহতি বা নোটিশ না দিয়ে সরকারি খাস জায়গা থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের এমন অভিযোগ করেন, ভুক্তভোগী ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া। সরজমিনে দেখা গেছে পুরনো ঐতিহ্যবাহী ঝগড়ার বাজারে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনেক ব্যবসায়ী পাঁকা ও অর্ধপাকা স্থাপনা করেছেন।
অনেকেই টিনের শেডের নিচে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই স্থায়ী দালান তুলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এরই মধ্য গত কদিন আগে হঠাৎ শ্রীবরদি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেশকাতুল জান্নাত রাবেয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্থানীয় শাহীন মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দেন।
এবিষয়ে ঝগড়ার চর বনিক সমিতির সহ সম্পাদক রেজাউল করিম রতন বলেন, ৫ উপজেলার মিলনস্থল ঝগড়ার চর বাজার। এবাজারটি অনেক পুরোনা এবং ঐতিহ্যাবাহী। সপ্তাহে দুদিন এই বাজারে কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। এছাড়াও বছরে ঝগড়ারচর বাজার থেকে কোটি টাকার রাজস্ব পায় সরকার। তবে দীর্ঘদিন থেকে এবাজারের অনেক ব্যবসায়ী সরকারি আদেশ না মেনে স্থায়ী ঘর তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
যা সম্পূর্নভাবে অবৈধ। তাহলে নিয়মের কথা বলে কেন শুধুমাত্র শাহীনের দোকান ভাংচুর করা হলো। স্থাণীয় এলাকাবাসী রবিউল ইসলাম জানান, অনেক রাঘব বোয়াল সরকারি জায়গা বেদখল করে নিয়মিত ভাড়া তুলছে। ফলে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। পাশাপাশি প্রতিটি পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা শেড নির্মান করা থাকলেও সব জায়গায় বেদখল করে যে যার মত স্থায়ী স্থাপনা করে তুলেছে।
তাহলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী শাহীন কেন একা ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী শাহীন মিয়া বলেন, আমার মত অনেক ব্যবসায়ী বাজারের জায়গা বেদখল করে আছে। তাহলে শুধুমাত্র আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেন ভেঙ্গে দেওয়া হলো। এ বিষয়ে জনমনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
error: Content is protected !!